(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Purba Medinipur: আলোচনা না করেই ভাড়া বাড়ানোর অভিযোগ, বিক্ষোভে বন্ধ নন্দীগ্রাম-হলদিয়া ফেরি চলাচল
Agitation Against Fare Hike: মহাষষ্ঠীর সকালে নন্দীগ্রাম--হলদিয়া ফেরির ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে ফেরি বন্ধ করে আন্দোলন শুরু করল যাত্রী কমিটি। পরিষেবা বন্ধ হওয়ায় সকাল থেকেই উত্তেজনা এলাকায়।
বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: মহাষষ্ঠীর (Mahashasti) সকালে নন্দীগ্রাম--হলদিয়া (nandigram) ফেরির (ferry) ভাড়া বৃদ্ধির (fare hike) প্রতিবাদে (protest) ফেরি বন্ধ করে আন্দোলন শুরু করল যাত্রী কমিটি (passenger committee)। পরিষেবা বন্ধ হওয়ায় সকাল থেকেই উত্তেজনা এলাকায়।
কী পরিস্থিতি?
বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ফেরি পরিষেবায়। যাত্রী পিছু ২ টাকা করে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ। বেড়েছে মোটরসাইকেল-সহ নানা যান পরিবহণের ভাড়াও। তার প্রতিবাদেই ফেরিঘাটের গেট বন্ধ করে আন্দোলন চলছে। সকাল ৭টা থেকে চলছে আন্দোলন। বিক্ষোভকারীদের সমর্থন জানিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন তমলুক সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল চেয়ারম্যান পীযুষ ভূঙ্যাও। আর ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় সমস্যায় দুই পারের বাসিন্দারা।
প্রেক্ষাপট...
হলদি নদীর উপর এই ফেরি পরিষেবার দায়িত্বে রয়েছে হলদিয়া পুরসভা। তারা একটি সংস্থাকে সেটি ইজারা দিয়েছে। ফেরিঘাটের ইজারাপ্রাপ্ত সেই কর্তৃপক্ষের দাবি, পুরসভার অনুমতি নিয়েই ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। তার পরও বিক্ষোভ কেন? আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, দেড় মাস আগে ভাড়া বাড়ানোর একটা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। তখন পুরসভা বিষয়টি থেকে পিছু হঠে। বিক্ষোভকারীরা জানাচ্ছেন, সে সময় বলা হয়েছিল নন্দীগ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেই ভাড়া ঠিক করা হবে। কিন্তু সেই আশ্বাস বাস্তবায়িত হয়নি বলে অভিযোগ। কথাবার্তা কিছু না বলে আজ সকাল থেকেই বর্ধিত ভাড়া নেওয়া শুরু হয়। ভাড়ার তালিকাও তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। তারই প্রতিবাদে নন্দীগ্রামের কেন্দামারী ফেরিঘাট থেকে আন্দোলন শুরু হয়। শাসকদলের একাধিক নেতারও বক্তব্য, আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল। এই মুহূর্তে প্রশাসনিক স্তরে দফায় দফায় আলোচনা চলছে। পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলছে। পরবর্তীকালে কী সিদ্ধান্ত হবে, সেটার দিকেই অপেক্ষা করে অনেকে। প্রসঙ্গত, হালে এসবিএসটিসি-র অস্থায়ী কর্মীদের আন্দোলনের জেরে তীব্র ভুগতে হয়েছিল সাধারণ মানুষকে।
কর্মবিরতির ভোগান্তি...
হালে দুর্গাপুরে SBSTC-র ডিপোয় সার সার বাস দাঁড়িয়ে থাকার ছবি বার বার দেখা গিয়েছে সংবাদমাধ্যমে। স্থায়ী কর্মীদের দিয়ে কলকাতাগামী কয়েকটি বাস চালানো হলেও, তা পর্যাপ্ত হয়নি। আটকে পড়েছেন বহু মানুষ। হয়রানির ছবি ধরা পড়ে বীরভূমেও। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার কয়েকটি বাস চললেও, তাতে ঠাসা ভিড়। প্রসঙ্গত, মহালয়া পেরিয়ে গেলেও দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার অস্থায়ী কর্মীদের কর্মবিরতি অব্যাহত ছিল। দুর্ভোগের সপ্তাহ পেরোনোর পর গত ২৭ সেপ্টেম্বর শেষমেশ আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়। পুজোর পরে পরিবহণমন্ত্রীর বৈঠকের আশ্বাসে জল গলে।
আরও পড়ুন:আর কিছুক্ষণের অপেক্ষা, 5G বিপ্লবের সাক্ষী হবে দেশ,উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী