National Medical College : এবার 'মত্ত' রোগীর আত্মীয়দের হুজ্জুতি ন্যাশনাল মেডিক্যালে, অশ্রাব্য গালিগালাজ, 'দেখে নেব' হুমকি
রাজ্য সরকারের নিরাপত্তার আশ্বাসই সার। ফের সরকারি মেডিক্যাল কলেজে জুনিয়র ডাক্তারদের হেনস্থা, হুমকির অভিযোগ।
ঐশী মুখোপাধ্যায়, উত্তর ২৪ পরগনা : হামলা-মারধরের প্রতিবাদে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি অব্যাহত। এই পরিস্থিতিতে সোমবার , ৩০ সেপ্টেম্বর, সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি রয়েছে। এরই মধ্যেই ফের ডাক্তারদের ওপর চড়াও হওয়ার ঘটনা ঘটল চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে।
সাগর দত্ত মেডিক্যালের পর এবার চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে ওয়ার্ডে ঢুকে রোগীর পরিবারের গুন্ডামি করার অভিযোগ উঠল। রবিবার ভোর রাতে ঘটে গেল এই ঘটনা। জুনিয়র ডাক্তারদের যারপরনাই হেনস্থা হতে হল। অভিযোগ, রোগীর পরিবার ডাক্তারদের হাসপাতাল থেকে বেরোলে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেয়।
জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, রবিবার ভোর ৪টে নাগাদ হাতে গুরুতর আঘাত নিয়ে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে আসেন রোগী ও তাঁর আত্মীয়রা। রোগীকে পরীক্ষা করেন দুই ইন্টার্ন চিকিৎসক। রোগীকে অস্ত্রোপচার করার কথা জানিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বলেন। অভিযোগ, এরপরই মত্ত রোগী ও তাঁর আত্মীয়রা ওয়ার্ডে উপস্থিত দুই ইন্টার্ন চিকিৎসক ও একজন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনিকে অশ্রাব্য গালিগালাজ শুরু করেন। জুনিয়র ডাক্তারদের হেনস্থাও করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় রোগী ও তাঁর এক আত্মীয়কে গ্রেফতার করেছে বেনিয়াপুকুর থানার পুলিশ ।
জুনিয়র ডাক্তারদের প্রশ্ন, হাসপাতালে পুলিশি নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে মত্ত অবস্থায় সার্জারি ওয়ার্ডে ঢুকে পড়লেন রোগী ও তাঁর আত্মীয়রা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মনোভাব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসকদের উপর হামলার ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেফতার করল কামারহাটি থানার পুলিশ। এই নিয়ে গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৬। অন্যদিকে মৃত রোগীর স্বামী রবিবার কাবাডি থানায় চিকিৎসায় গাফিলতি অভিযোগ এনে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ডাক্তারদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর, সাগর দত্ত মেডিক্যালে তড়িঘড়ি বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। নতুন করে মোতায়েন করা হল ১২ জন কনস্টেবল। এর মধ্যে রয়েছেন ৪ জন মহিলা কনস্টেবলও। আগে ১৬ থেকে বেড়ে কনস্টেবলের সংখ্যা এখন হল ২৮। পুলিশ অফিসার চার থেকে বেড়ে হল ৮। এরই সঙ্গে রাখা হয়েছে ৮ জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে। সব মিলিয়ে আপাতত হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন ৪৪ জন। শনিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে স্বাস্থ্যসচিব, ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার ও জেলাশাসকের বৈঠকের পরেই নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু সরকারের কোনও আশ্বাসেই আর আশ্বস্ত হতে পারছেন না জুনিয়র ডাক্তাররা। তাই কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। চিকিৎসকদের সঙ্গে অবস্থান মঞ্চে যোগ দেন নার্সরাও।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।