Petrol-Diesel Price: 'যেভাবে দাম বাড়ছে, সেভাবে তো বেতন বাড়েনি, সংসার চালানো কষ্টকর', জ্বালানির জ্বালায় নাজেহাল জনতা
Petrol Diesel Price Hike: দক্ষিণেশ্বরের বাসিন্দা সঙ্গীতা দত্ত বলেন, "যেভাবে গ্যাসের দাম বেড়েছে, তা ভাবা যায় না। আমরা তো আর উনুন বা স্টোবে ফিরে যেতে পারব না। "
সত্যজিৎ বৈদ্য, কলকাতা: প্রায় রোজই দাম বাড়ছে পেট্রোল (Petrol)-ডিজেলের (Diesel)। কলকাতায় (Kolkata) লিটারপ্রতি পেট্রোলের দাম হয়েছে ১০৯ টাকা ৬৮ পয়সা। ডিজেলের দাম ৯৪ টাকা ৬২ পয়সা। এই অবস্থায়, মূল্যবৃদ্ধির জেরে নাজেহাল অবস্থা সাধারণ মানুষের।
দক্ষিণেশ্বরের বাসিন্দা সঙ্গীতা দত্ত বলেন, "যেভাবে গ্যাসের দাম বেড়েছে, তা ভাবা যায় না। আমরা তো আর উনুন বা স্টোবে ফিরে যেতে পারব না। ইনডাকশান ব্যবহার করতে চাই। কিন্তু, তাতে তো বিদ্যুতের খরচও বিশাল।" উত্তরপ্রদেশ সহ ৫ রাজ্যে ভোট শেষ হতেই রাহুল গান্ধী ট্যুইট করে কটাক্ষের সুরে বলেছিলেন গাড়ির ট্যাঙ্ক ভরিয়ে নিন, এবার মোদি সরকারের ভোট-ডিসকাউন্ট বন্ধ হতে চলেছে। অর্থাৎ পেট্রোপণ্যের দাম বাড়তে চলেছে।
১০ মার্চ ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফল বেরোয়। ৪ রাজ্যে বিপুল জয় পায় বিজেপি। ধরাশায়ী হয় কংগ্রেস...আর ভোটের ফল বেরোনোর পর ঠিক ১১ দিনের মাথায় প্রথম বাড়ে পেট্রোপণ্যের দাম...এরপর গত ৮ দিনে পেট্রোল-ডিজেলের দাম ৭ বার বেড়েছে! মঙ্গলবারও দাম বেড়েছে পেট্রোপণ্যের। এদিন কলকাতায় ৮৩ পয়সা বেড়ে লিটারপ্রতি পেট্রোলের দাম হয়েছে ১০৯ টাকা ৬৮ পয়সা। ডিজেলের দাম ৭০ পয়সা বেড়ে হয়েছে ৯৪ টাকা ৬২ পয়সা।
মাত্র গত ১ সপ্তাহে...৫ টাকার বেশি দাম বেড়েছে পেট্রোলের! ডিজেলের দাম বেড়েছে ৪ টাকা ৮৩ পয়সা! এই অবস্থায় নাজেহাল অবস্থা সাধারণ মানুষের। বাঁশদ্রোণীর বাসিন্দা পেশায় ব্যবসায়ী দেবর্ষি মণ্ডল। তিনি বলেন, "শুধু পেট্রোল ডিজেল নয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামও বাড়ছে। সংসার চালানো সমস্যা হচ্ছে। বাইকে তেল ভরার সময় ভাবতে হচ্ছে।"
আরও পড়ুন, ক্ষোভ সামালের চেষ্টা, বহিষ্কৃতকেই দলে ফিরিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান করল তৃণমূল
মুচিপাড়ার বাসিন্দা ঋষভ ধর বলেন, "গাড়ি আছে, কিন্তু যেভাবে দাম বাড়ছে, সেভাবে তো বেতন বাড়েনি। এখন যা পরিস্থিতি, তাতে কোভিড পরবর্তীতে বেতন যে বাড়বে না তা বলা যায়। তাতে অন্য খরচে কাটছাট করতেই হবে। এমন অবস্থা, যে গাড়ি ছেড়ে বাসে যাতায়াত করতে হবে।"
২২ মার্চ, রান্নার গ্যাসের দাম একলাফে ৫০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এই অবস্থায়, অনেকেই গ্যাসের কানেকশন ছেড়ে দিচ্ছেন বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। এইচপিসিএল এলপিজি ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ সেন বলেন, "ছোটবেলা থেকে দেখছি, কখনও দেখিনি এত কম সময়ে এত বেড়েছে। আরও বাড়বে। এক্সাইজ ডিউটিতে আগে ভর্তুকি ছিল। সরকার ভর্তুকি দিলে এত দাম বাড়তো না।"
পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির জন্য মোদি সরকারকেই দায়ী করছেন, অর্থনীতিবিদদের একাংশ। অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকার বলেন, "ভর্তুকি তো দিতেই হবে, ভর্তুকি দিলে এরকম হত না। গ্যাসের ক্ষেত্রে এবার নিয়ন্ত্রণ দরকার। সরকার শুধু লাভ করবে এটা হতে পারে না।"