PM Modi : 'সামাজিক সঙ্কট তৈরি করছে, এখান থেকে যেতেই হবে', অনুপ্রবেশ-ইস্যুতে ফের হুঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর
Illegal Infiltration: সীমান্ত দিয়ে বেআইনি অনুপ্রবেশ রুখতে বেড়া দেওয়ার দাবি দীর্ঘদিনের।

কলকাতা : 'রাজ্য সরকার এখনও ১৪৮.৯৭১ কিলোমিটার জমি অধিগ্রহণ শুরু করেনি।' পশ্চিমবঙ্গে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কত এলাকা বেড়া দেওয়া হয়েছে এবং কতটা এখনও বাকি আছে, এই সংক্রান্ত তথ্য দিতে গিয়ে দিনকয়েক আগেই রাজ্যসভায় একথা জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। সীমান্ত দিয়ে বেআইনি অনুপ্রবেশ রুখতে বেড়া দেওয়ার দাবি দীর্ঘদিনের। এই আবহে এদিন দমদমের জনসভা থেকে অনুপ্রবেশ ইস্যুতে চাঁচাছোলা ভাষায় বিরোধীদের বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
তিনি বললেন, "আমি অবাক হয়ে যাই যে, তৃণমূল-কংগ্রেস-সহ কিছু 'ইন্ডি' জোটের দল তোষণের কারণে নতজানু হয়ে গেছে। এই রাজনৈতিক দলগুলি ক্ষমতার লোভে অনুপ্রবেশ বাড়তে দিচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তবর্তী রাজ্য। যেভাবে সীমান্ত এলাকায় জনসংখ্যা বাড়ছে, এটা পশ্চিমবঙ্গে সামাজিক সঙ্কট তৈরি করছে। বিশেষ করে কৃষকদের জমি দখল করে নেওয়া হচ্ছে। আদিবাসীদের জমি ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এটা সহ্য করবে না দেশ। এটাকে আটকাতে হবে। তাই এবার লালকেল্লা থেকে আমি অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে বিশেষ জনসংখ্যা মিশনের ঘোষণা করেছি। যারা এখানে আমাদের লোকদের রুজি-রুটি ছিনিয়ে নিতে এসেছে, যারা জাল কাগজ তৈরি করে রয়ে গেছে, তাদের এখান থেকে যেতেই হবে।"
প্রধানমন্ত্রীর এই আক্রমণের জবাব দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের তরফে কুণাল ঘোষ সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, "আজ তো আবার প্রকাশ্যে অমিত শাহর উপর অনাস্থা জানিয়ে গেলেন নরেন্দ্র মোদি। কী বলেছেন ? অনুপ্রবেশ বাড়ছে। অনুপ্রবেশ কী করতে বাড়তে পারে...দেশের সীমান্ত যদি অরক্ষিত হয়। সীমান্তের দায়িত্বে কে ? BSF। কোন দফতর ? স্বরাষ্ট্র দফতর। মন্ত্রী কে ? অমিত শাহ। বাংলা সীমান্ত দিয়ে যদি দু'জন ঢোকে, ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়ে ২০ জন ঢুকছে, কয়েকদিন আগে ধরা পড়ছে রোহিঙ্গা-সহ। ডবল ইঞ্জিন সরকার। কাচের ঘরে বসে ঢিল ছুড়ছেন।"
এদিন বিহারের সভাতেও প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, "দেশে বেআইনি অনুপ্রবেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা উদ্বেগের বিষয়। বিহারের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে জনসংখ্যার চিত্র দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। এনডিএ সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে দেওয়া হবে না। আমরা অনুপ্রবেশকারীদের বিহারের জনগণের জন্য নির্ধারিত চাকরি কেড়ে নিতে দেব না... এই হুমকি মোকাবিলায়, আমি একটি জনসংখ্যা মিশন শুরুর প্রস্তাব করেছি। শীঘ্রই তার কাজ শুরু হবে। আমরা প্রত্যেক অনুপ্রবেশকারীকে তাড়িয়ে দেব।"




















