Belgharia: বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ের দু'ধারের অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দিল পুলিশ
কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে সম্প্রসারণের প্রক্রিয়া চলছে। কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের রাস্তাটি বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে। বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ের দু'ধারের অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দিল পুলিশ।
ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, বেলঘড়িয়া: বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ের দু'ধারের অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দিল পুলিশ। অবৈধ যে দোকানগুলো এতদিন বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ের দু ধার ধরে ছিল, দেখা যেত, সেগুলোকেই এবার ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। মূলত রাস্তা সম্প্রসারণের জন্যই পুলিশি অভিযান বলে জানিয়েছে ব্যারাকপুর কমিশনারেট।
১০ দিন আগেই প্রশাসনের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এব্যাপারে একটি নোটিশও দেওয়া হয়েছিল যে, বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ের ওপরে যে অবৈধ নির্মাণ তা ভেঙে ফেলা হবে। ওখানকার অস্থায়ী দোকানদারদেরও জানানো হয়েছিল যাতে তারা তাঁদের দোকান গুটিয়ে ফেলেন ওখান থেকে।
কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানোর পরও দোকানগুলো চলছিলই। এরপরই সেই অবৈধ নির্মাণগুলো ভেঙে দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এক্সপ্রেসওয়েতে কাজ হবে। কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে সম্প্রসারণের প্রক্রিয়া চলছে। কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের রাস্তাটি বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে। তাই জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পুলিশ ও অন্যান্য অফিশিয়ালদের উপস্থিতিতেই এই ভেঙে দেওয়ার কাজ শুরু হয়।
বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ের দুধারে দীর্ঘদিন ধরেই প্রচুর অস্থায়ী ক্যাফেটেরিয়া, চায়ের দোকান, কফি শপ ছিল। সেখানে প্রতিদিন ভিড় জমত সন্ধের পর। কারণ স্থানীয় যুবক- যুবতীদের আড্ডা মারারও একটি সুন্দর স্থান ছিল সেই এক্সপ্রেসওয়ের চায়ের দোকান, কফির দোকানগুলো।
অনেক দোকানদারই দোকান খালি করে ফেলেছিলেন আগেই। কিন্তু যারা এখনও খালি করেননি, তাঁদের দোকানগুলোই ভেঙে ফেলা হচ্ছে। এই নিয়ে বেশিদিন আর প্রশাসন সময় দেবে না বলেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এরপরই নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু অনেকেই সেই নোটিশ মানেনি। এরজন্য এবার ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে নিয়ে স্থানীয়দের অভিযোগও বাড়ছিল ক্রমাগত। কোথাও রাস্তায় বিশাল বিশাল গর্ত তো কোথাও আবার রাস্তার কোনও কোনও অংশ ভেঙে গিয়েছে। হাইওয়ে হওয়ায় বিভিন্ন সময়ে পথ দুর্ঘটনায় প্রাণও হারাতে হয়েছে অনেককে। প্রতিদিন অসংখ্য গাড়ি কলকাতা ও শহরতলি থেকে বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যাতায়াত করেন। নতুন করে নির্মাণকার্য শুরু হলে রাস্তা আবার ঠিক হবে, দুর্ঘটনার মাত্রাও কমবে, আশাবাদী স্থানীয়রা।