Post Poll Violence: আদালতে আত্মসমপর্ণের পরেই জেল হেফাজতে TMC নেতা আবু তাহের
Abu Taher in Jail: ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নন্দীগ্রামে তৃণমূল নেতা আবু তাহেরের জেল হেফাজতের নির্দেশ।
পূর্ব মেদিনীপুর: রাজ্যে ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে একের পর এক ভোট। তবে ধূপগুড়ি উপনির্বাচন ছাড়া প্রায় প্রতিটা ভোটেই রক্তাক্ত হয়েছে বাংলা। তার মধ্যে সবথেকে বেশি হিংসা ছড়িয়েছে সাম্প্রতিককালে একুশের বিধানসভায়। যার জেরে হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-কে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পঞ্চায়েত ভোট গেলেও সেই মামলা এখনও চলছে। আর সেই বিধানসভা ভোটের পর নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মী খুনের মামলায় অভিযুক্ত হয়েছিলেন সেসময় তৃণমূলের আবু তাহের। এবার কোর্টে আত্মসমর্পণ করতে এসে জেল হেফাজতে গেলেন তৃণমূল নেতা (TMC Leader)।
ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় সিবিআই চার্জশিটে আবু তাহেরের নাম। একাধিক নোটিসের পরেও গরহাজির, ফেরার ঘোষণা করে সিবিআই। সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ আবু তাহের, ১৪ দিনের নিম্ন আদালতে যাওয়ার নির্দেশ।সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে হলদিয়া মহকুমা আদালতে আত্মসমপর্ণের পরেই ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবু তাহেরের জেল হেফাজত দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, নন্দীগ্রাম ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সহ সভাপতি ছিলেন তৃণমূলের আবু তাহের। মূলত বিধানসভা ভোটের পর নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মী খুনের মামলায় অভিযুক্ত হন তিনি। এরপর ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় সিবিআই চার্জশিটে নাম ওঠে তাঁর। একাধিক নোটিসের পরেও গরহাজির হওয়ার জেরে ফেরার ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
প্রস্ঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগগুলির তদন্ত নামে CBI। এদিকে এই নির্দেশের পর নন্দীগ্রামে একসঙ্গে দলের তিন নেতা-কর্মীর বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা হানা দেওয়ার পর বিজেপিকে জোর নিশানা করেছিল তৃণমূল। যদিও যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিল সেবার গেরুয়া শিবির।
নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি স্বদেশ দাস বলেছিলন, 'সিবিআই তাদের কাজ করবে, আদালতের নির্দেশে করছে, কিন্তু চাইব যাতে নিরপেক্ষ কাজ করে। বোঝাই যাচ্ছে একটি দলের হয়ে কাজ করছে, মির্জাফরের হয়ে কাজ করছে।' বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'দেবব্রত মাইতিকে চক্রান্ত করে মেরে ফেলেছে, সিবিআই-এর উপর আস্থা আছে। আইন আইনের মতো চলছে। এতে আমাদের দলের যোগ নেই।'
আরও পড়ুন, মন্দিরবাজারে বন্ধুকে রিসর্টের ঘরে তালাবন্ধ রেখে তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ
গত বছর অক্টোবরে, বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতিকে খুনের অভিযোগে, শেখ সুফিয়ানের জামাই-সহ ১১জন তৃণমূল নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে CBI। সেই মামলাতেই আরও তিন তৃণমূল নেতা-কর্মীর খোঁজে বাড়িতে হানা দিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।