Primary Recruitment: ২০১৬-র মেধাতালিকা সিঙ্গল বেঞ্চে পেশের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ
HC Primary Recruitment: বিচারপতি অমৃতা সিন্হার নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চের।
কলকাতা: প্রাথমিকে নিয়োগে ২০১৬-র মেধাতালিকা সিঙ্গল বেঞ্চে পেশ করার নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ। বিচারপতি অমৃতা সিন্হার (Amrita Sinha) নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চের। আগামী চার সপ্তাহ বহাল থাকবে স্থগিতাদেশ।
১২ ডিসেম্বর ২০১৬-র মেধাতালিকা আদালতে পেশের নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিন্হার। ২০১৪ সালের টেটের প্রেক্ষিতে ২০১৬-র মেধাতালিকা আদালতে পেশের নির্দেশ দেন বিচারপতি। নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং ২ বিতর্কিত চাকরিপ্রাপক। সেই মামলাতেই ২০১৬-র মেধাতালিকা সিঙ্গল বেঞ্চে পেশ করার নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ। মূল দুই মামলাকারী আদৌ টেটে পাস করেছেন কি না, জানতে সিবিআইয়ের রিপোর্ট তলব। ৪ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।
অপরদিকে, সম্প্রতি নবম-দশমে সুপারিশ পত্র প্রত্যাহার নিয়ে বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (School Service Commission)। কমিশনের অবস্থান সন্তোষজনক নয়, মতপ্রকাশ বিচারপতির। 'প্রথম দিন থেকে জানতে চাইছি এসএসসি-র মাধ্যমে সুপারিশ পত্র দেওয়াতে কোনও ভুল থাকলে তা খুঁজে পেয়েছেন কিনা।খুঁজে পেয়ে থাকলে আপনারা সেক্ষেত্রে কী করেছেন, কমিশনকে প্রশ্ন বিচারপতি দেবাংশু বসাকের।
'অনেক অনিয়ম খুঁজে পেয়েছি, আদালতের সামনে পেশ করেছি, তারপর আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করেছি', ফের জানাল কমিশন। গ্রুপ সি এবং ডি-র ক্ষেত্রে সুপারিশ পত্র প্রত্যাহারের কোনও বিধি কমিশনের আইনে নেই, জানাল কমিশন।'কাদের কমিশন সুপারিশ পত্র দিয়েছিল, এবং কারা নিয়োগপত্র পেয়েছিল সেটা প্রথমে জানা দরকার। কমিশন যাদের সুপারিশ করেছিল তাদের ছাড়া অন্য ব্যাক্তিরা নিয়োগপত্র পেলে, তা খতিয়ে দেখার জন্য সিবিআই দরকার নেই, মন্তব্য বিচারপতির। কমিশন কেন সব তথ্য আদালতের সামনে নিয়ে আসতে লজ্জা পাচ্ছে ? প্রশ্ন বিচারপতির।
'বলতে বাধ্য হচ্ছি যে আপনারা কিছু লুকোতে চাইছেন', এসএসসি-র উদ্দেশে মন্তব্য বিচারপতি বসাকের।
আরও পড়ুন, ভয় ধরাচ্ছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট, সতর্ক থাকার পরামর্শ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
'যাঁদের সুপারিশ পত্র দেওয়া হওয়া হয়েছিল তাদের ছাড়া কাউকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি', জানাল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। 'নবম-দশমের ক্ষেত্রে ১৮৩ জনের সুপারিশপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে গলদ ছিল। তাঁদের মধ্যে ১২২ জনের সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করা হয়েছে, জানাল কমিশন'। ৬১ জনের সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করেননি কেন ? আদালত বারণ করেছিল ? কোনও স্থগিতাদেশ আছে ? প্রশ্ন বিচারপতির এমন কিছু নেই, বিচারপতির প্রশ্নের উত্তরে জানাল কমিশন। 'তাহলে প্রত্যাহার করুন', মন্তব্য বিচারপতির। 'এই ৬১ জনের রাজ্যের বেতন ভোগ করার কোনও অধিকার নেই, মন্তব্য বিচারপতির।