Purba Burdhaman News : জোটেনি অ্যাম্বুল্যান্সের টাকা, ট্রেনে রোগীকে নিয়ে যাওয়ার পথে স্টেশনেই মৃত্যু, ভাতারে ফিরল জলপাইগুড়ির মর্মান্তিক ঘটনা
Ambulance Scarcity : পরিবারের দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে সরকারি অ্য়াম্বুল্য়ান্সের জন্য় আবেদন করা হয়। কিন্তু সরকারি অ্য়াম্বুল্য়ান্স পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ।
কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান : জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) মর্মান্তিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bhuedhaman) ভাতারে। অ্যাম্বুল্যান্সের টাকা জোগাড় করতে না পারায়, রোগীকে ট্রেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা। আর যাওয়ার পথে স্টেশনেই মৃত্য়ু হল বছর ৪৮-এর মহিলার।
আচমকা অসুস্থ বোধ করায়, বৃহস্পতিবার তাঁকে ভর্তি করা হয় ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে (Bhatar State General Hospital)। তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক হয়ে পড়ায় তাঁকে বর্ধমান মেডিক্য়াল কলেজে (Burdhaman Medical College) রেফার করা হয়। যদিও রোগীর পরিবারের কাছে অ্য়াম্বুল্য়ান্সের খরচ ছিল না। তাঁদের দাবি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে সরকারি অ্য়াম্বুল্য়ান্সের জন্য় আবেদন করা হয়। কিন্তু সরকারি অ্য়াম্বুল্য়ান্স পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ। মহিলার স্বামী অভিযোগ, গত কয়েকদিন ধরে কাজ-কর্ম সব বন্ধ ছিল। তাই কোনও টাকা ছিল না সঙ্গে। বারবার অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য কাতর আবেদন করলেও টাকা না থাকলে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা পাওয়া যাবে না বলেই জানানো হয় তাঁকে।
গাড়ি ভাড়া জোগাড় করতে না পেরে, রোগীকে ট্রেনেই বর্ধমানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা পরিবারের। মাঝপথে ভাতার স্টেশনেই মৃত্য়ু হয় মহিলার। অ্যাম্বুল্যান্স না পেয়ে টোটো চাপিয়ে স্ত্রীকে স্টেশনে নিয়ে যেতা বাধ্য হয়েছিলেন তাঁর স্বামী। যেখানে প্ল্যাটফর্মে পা রাখার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর স্ত্রী মারা যান বলেই জানিয়েছেন মৃতার স্বামী। সরকারি অ্য়াম্বুল্যান্স বিকল থাকায় পরিষেবা দেওয়া যায়নি, দাবি হাসপাতালের। প্রসঙ্গত, একটিই সরকারি অ্যাম্বুল্যান্স রয়েছে ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালের। অন্যদিকে ১০২ নম্বরে ফোন করে যে নিশ্চয়-যান পরিষেবা পাওয়া যায় তা শুধুমাত্র প্রসূতি মহিলা ও শিশুদের জন্য বরাদ্দ হয়ে থাকে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। এনিয়ে ব্লক মুখ্য় স্বাস্থ্য় আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন সিএমওএইচ (CMHO)।
গত জানুয়ারি মাসে, জলপাইগুড়িতে একইধরণের ঘটনায় নিন্দার ঝড় ওঠে। মা-হারানোর শোকে কাতর ছেলের কাছে তিন হাজার টাকা দাবি করেছিল অ্য়াম্বুল্যান্স। হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান সেই টাকা দিতে না পারায় মৃতদেহ নিতে অস্বীকার করেন অমানবিক অ্য়াম্বুল্য়ান্স চালক ! তাই বাধ্য় হয়ে মায়ের মৃতদেহ কাঁধে চাপিয়ে হাঁটা শুরু করেন ছেলে ! লজ্জাজনক ছবি প্রকাশ্যে আসার পর, নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
আরও পড়ুন- অবশেষে হাওয়া বদল, রাজ্যজুড়ে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা, তবে চলবে তাপপ্রবাহও