Jitendra Tiwari:বুকে ব্যথা, প্রথমে বর্ধমান মেডিক্যাল, পরে কলকাতায় রেফার কম্বলকাণ্ডে ধৃত বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি
Burdwan Medical College: বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হলেন কম্বলকাণ্ডে গ্রেফতার বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। সূত্রের খবর, বুকে ব্যথা অনুভব করছিলেন জিতেন্দ্র।

কৌশিক গাঁতাইত, পূর্ব বর্ধমান: বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (Burdwan Medical College And Hospital) ভর্তি হলেন কম্বলকাণ্ডে গ্রেফতার হলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি (BJP Leader Jitendra Tiwari)। সূত্রের খবর, বুকে ব্যথা অনুভব করায় বুধবার আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল জিতেন্দ্রকে। গত কালই সেখানে তাঁকে দেখতে যান স্ত্রী, আসানসোল পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী চৈতালি তিওয়ারি। আজ জিতেন্দ্রকে বর্ধমান মেডিক্যালে আনা হয়। পরে বর্ধমান থেকে কলকাতায় রেফার করা হয়েছে।
প্রেক্ষাপট...
গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর, জিতেন্দ্র-পত্নী ও আসানসোল পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী চৈতালি তিওয়ারির ওয়ার্ডে কম্বল বিলি অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে এক নাবালিকা-সহ ৩ জনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে গত ১৮ মার্চ, উত্তরপ্রদেশের নয়ডা থেকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। ৮ দিনের পুলিশ হেফাজত শেষে, গত ২৭ মার্চ ফের জিতেন্দ্রকে আদালতে তোলা হয়। তার আগে আসানসোল উত্তর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। পুলিশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানোর অভিযোগ আনে গেরুয়া শিবির।
কম্বলকাণ্ড...
প্রসঙ্গত, গত ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়। হুড়োহুড়ির মধ্যে প্রাণ যায় তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রী-সহ তিন জনের। ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ওই অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন, স্থানীয় বিজেপি কাউন্সিলর ও পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী চৈতালি, যিনি জিতেন্দ্রর স্ত্রী। ওই কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি বেরিয়ে যাওয়ার পরই হুলস্থুল বাধে বলে জানা যায়।সেই ঘটনায় পুলিশের এফআইআর-এ জিতেন্দ্র, তাঁর স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারি-সহ একাধিক নাম ছিল। অনিচ্ছাকৃত খুন ও খুনের চেষ্টার ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। নিহতদের আসানসোলের কাল্লার বাসিন্দা চাঁদমণি দেবী, ঝালি বাউড়ি এবং রামকৃষ্ণডাঙার ১২ বছরের প্রীতি সিংহ হিসেবে সনাক্ত করা যায়। সেই ঘটনায় গ্রেফতারও করা হয় কয়েক জনকে।
ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানোর অভিযোগ তুলেছেন জিতেন্দ্র
তবে এই মামলায় পুলিশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানোর অভিযোগ তুলেছেন জিতেন্দ্র। তাঁর দাবি, এত দিন ধরে হেফাজতে রেখেও দু'ঘণ্টা তাঁকে জেরা করেনি পুলিশ। সারাদিন ঘুরে ফিরে এসে রাতে মিনিট দশেক জেরা করে নিজেদের মনোরঞ্জন করছেন পুলিশ আধিকারিকরা। সোমবার আসানসোলের সিজেএম আদালত এমন দাবি করেন কম্বল বিলিকাণ্ডে ধৃত বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র। তার পর মঙ্গলবারই হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানো হয় তাঁর।
আরও পড়ুন:দমকা ঝোড়ো হাওয়া সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি, ভিজল গোটা দক্ষিণবঙ্গ
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
