Shaktigarh Langcha: শক্তিগড়ে আচমকাই বস্তা বস্তা ল্যাংচা পুঁতে ফেলা হচ্ছে মাটিতে !
Shaktigarh Langcha Destroy: শক্তিগড়ে ১৯ নং জাতীয় সড়কের ধারে ল্যাংচা হাব থেকে বস্তা বস্তা ল্যাংচা তুলে নিয়ে গিয়ে জেসিবি দিয়ে মাটিতে পুঁতে ফেলা হচ্ছে, কিন্তু কেন ?
কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: শক্তিগড়ে বাজেয়াপ্ত কুইন্টাল কুইন্টাল ল্যাংচা। বাসি ল্যাংচা বিক্রির চেষ্টার অভিযোগে বাজেয়াপ্ত। শক্তিগড়ে পরপর ল্যাংচার দোকানে অভিযান পুলিশ-প্রশাসনের। বাজেয়াপ্ত ৩ কুইন্টাল বাসি ল্যাংচা।
শক্তিগড়ে ১৯ নং জাতীয় সড়কের ধারে ল্যাংচা হাব থেকে বস্তা বস্তা ল্যাংচা তুলে নিয়ে গিয়ে জেসিবি দিয়ে মাটিতে পুঁতে ফেলা হচ্ছে। মূলত গোডাউনে বস্তা বস্তা ফাংগাস ভরা আধকাঁচা ল্যাংচা রয়েছে, এই খবর পেয়ে বর্ধমানে শক্তিগড়ে ফের হানা প্রশাসনিক আধিকারিকদের। জেসিবি নিয়ে এসে মাটি খুড়ে মাটিতে পুতে নষ্টও করা হল খাবারের অযোগ্য ল্যাংচা।
২১ জুলাইয়ের আগে বৃহস্পতিবারের পর ফের শনিবার বর্ধমানের বিখ্যাত শক্তিগড়ের ল্যাংচার দোকানগুলিতে হানা দিল স্বাস্থ্য দফতর। জেলা পুলিশ, ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর ও লিগ্যাল মেট্রোলজি দফতর। এদিন অভিযানের নেতৃত্ব দেন জেলার উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুবর্ণ গোস্বামী ও ডেপুটি পুলিশ সুপার (ডিইবি) এ এস চ্যাটার্জী। এ দিন এই হানাদারিতে প্রতিনিধিরা দেখেন, অধিকাংশ দোকানের রান্না-ঘর এখনও অস্বাস্থ্যকর, মিষ্টির কড়াইয়ে নেই ঢাকনা। কারিগরদের কোনও স্বাস্থ্যপরীক্ষা হয় না। নেই সামান্য পরিচ্ছন্নতা বজায়ও।
কোথাও বা বিষাক্ত রং মেশানো হচ্ছে মিষ্টিতে। এছাড়াও অনেকগুলি দোকানের গুদামে হানা দিয়ে সাত-দশদিন আগে থেকে ভেজে রাখা, ফাংগাস পরে যাওয়া ল্যাংচা মেঝের উপর ডাঁই করে রাখা অবস্থায় দেখতে পান হানাদারি টিম। টিমের প্রাথমিক অনুমান, এই সমস্ত বাসি মিষ্টি যা ২১-শে জুলাই পুনরায় ভেজে, রসে ডুবিয়ে বিক্রি করবার পরিকল্পনা ছিল।কারণ ২১ শে জুলাই বিভিন্ন জেলা থেকে গাড়িতে করে জাতীয় সড়ক ধরে বহু তৃণমূলকর্মী আসা-যাওয়া করেন এবং এর জন্য শক্তিগড়ে ল্যাংচার চাহিদা থাকে তুঙ্গে। পরীক্ষার জন্য কয়েকটি নমুনা রেখে বাকি প্রায় তিন কুইন্ট্যাল এই ধরণের ভাজা ল্যাংচা আজ বাজেয়াপ্ত করে তা পরিবেশ-বান্ধব উপায়ে মাটিতে গর্ত করে পুঁতে দেওয়া হয়েছে।
সাতজন দোকানদারকে আইনী নোটিস ধরানো হয়েছে,কয়েকজনের বিরুদ্ধে শক্তিগড় থানায় ডায়েরি করা হয়েছে। জানা গেছে, সমস্ত অসাধু দোকানদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ মামলা রুজু করা হচ্ছে। তাঁদের প্রত্যেকের দশ লক্ষ টাকা অবদি জরিমানা ও সাত বছর পর্যন্ত হাজতবাস বা উভয়ই হতে পারে। এদিন ক্রেতাদের শক্তিগড়ে ল্যাংচা কেনার আগে যথেষ্ট সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওঠা শ্লীলতাহানির অভিযোগ খণ্ডন রাজভবনের, 'অস্থায়ী মহিলা কর্মীকে দিয়ে সাজানো..'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।