(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
East Burdwan: লকডাউনে কাজ হারিয়ে গ্রামে ফিরে কর্মসংস্থানের দিশা, ৪৬ পরিবারের অন্নদাতা বুদবুদের রং মিস্ত্রি
প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে পানাগড় সিলামপুর রোডের ধারে ৭২ একর সরকারি জমিতে যে সব ছোট খাটো জলাশয় ছিল, মাঝের বাঁধ কেটে সেগুলিকে জুড়ে দেওয়া হয়। এভাবে কান্তি দে ও তাঁর সহকর্মীরা রূপ দেন বড় জলাশয়ের।
মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পূর্ব বর্ধমান: কাজ হারিয়ে কাজের দিশা দেখালেন পূর্ব বর্ধমানের বুদবুদের বাসিন্দা কান্তি দে। পেশায় ছিলেন রঙের মিস্ত্রি। কাজ হারানোর পর গ্রামের কয়েকজনকে নিয়ে তিনিই গড়ে তুলেছেন মাছ ধরার স্পট। জলাশয়ের লাগোয়া জমিতে হচ্ছে সবজি চাষও। স্থানীয় পঞ্চায়েতও এগিয়ে এসেছে সাহায্যে।
গত বছর করোনার কারণে কাজ হারিয়েছেন। এক বছরের মধ্যে তিনিই গ্রামের ৪৬টি পরিবারের অন্নদাতা। পরিকল্পনা আর উদ্যমে ভরসা রেখে নজির গড়েছেন এক রং মিস্ত্রি। পূর্ব বর্ধমানের বুদবুদের নস্করবাঁধের বাসিন্দা কান্তি দে রঙের মিস্ত্রির কাজ করতেন হাওড়ার এক কারখানায়। করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় গত বছর কাজ হারান তিনি। কিছুদিন বাড়িতে বসে ছিলেন। তারপর স্থানীয় যুবকদের নিয়ে চাকতেঁতুল গ্রাম পঞ্চায়েতের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে পানাগড় সিলামপুর রোডের ধারে ৭২ একর সরকারি জমিতে যে সব ছোট খাটো জলাশয় ছিল, মাঝের বাঁধ কেটে সেগুলিকে জুড়ে দেওয়া হয়। এভাবে কান্তি দে ও তাঁর সহকর্মীরা রূপ দেন বড় জলাশয়ের। সেখানে মাছের চারা ছাড়েন তাঁরা।
এখন সেই জলাশয়ে মাছ ধরার জন্য টিকিটের দাম ২ হাজার টাকা। কেউ মাছ না পেলে তাঁকে ১ হাজার টাকা ফেরত দেওয়া হয়। মাছ ধরার জন্য উত্সাহীদের ভিড়ও হচ্ছে। কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে ৪৬ জনের। প্রকল্পের নাম দিয়েছেন অন্নদাতা।
পাশেই করা হয়েছে সবজি চাষ। যাঁরা মাছ ধরতে আসেন, তাঁদের জলাশয়ের পাড়ে খাবারও পৌঁছে দেওয়া হয়। বুদবুদের এক স্থানীয় বাসিন্দা সৈয়দ তাপু বলেছেন, এখানে মাছ ধরতে এসে প্রচুর মাছ পাচ্ছি।
স্থানীয় পঞ্চায়েতও এগিয়ে এসেছে সাহায্যে। চাকতেঁতুল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অশোক মুখোপাধ্যায় বলেছেন, এটা অত্যন্ত ভাল উদ্যোগ। এলাকার অনেকের কর্মসংস্থান হয়েছে। আমরাও সাহায্য করব।
কান্তির পরিকল্পনা রয়েছে, এই জলাশয়কে কেন্দ্র করে পিকনিক স্পট গড়ে তোলার। সেই পরিকল্পনার সার্থক করতেই নিরলস পরিশ্রম করছেন এক সময় কাজ হারানো ওই উদ্যোক্তা।