East Burdwan News: টিকিট না পেয়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়ে মেমারি পুরভোটে প্রার্থী তৃণমূলের দু’বারের কাউন্সিলর
East Burdwan Municipal Election: মেমারি্ শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি স্বপন ঘোষাল জানান ,দল যাকে যোগ্য মনে করেছে তাকে প্রার্থী করেছে। যাঁরা ব্যক্তি স্বার্থের জন্য দল করেন, তাঁরা এই রকমটাই করবেন।
কমলকৃষ্ণ দে, মেমারি (পূর্ব বর্ধমান): পুরভোটে (Municipal Election) তৃণমূলের (TMC) টিকিট না পেয়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন (East Burdwan) মেমারি পুরসভার (Memari Municipality) ২ বারের কাউন্সিলার। কংগ্রেস প্রার্থী (Congress Candidate) হিসাবে মনোনয়ন পেশও করেছেন তিনি। মেমারি পুরসভার ১৩ নং ওয়ার্ড থেকে কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন পেশ করলেন মেমারি পুরসভার ২ বারের তৃণমুল কাউন্সিলার রুপা খাঁড়া (Former TMC Councilor)।
৫ দিন আগেই কংগ্রেসে যোগদান করার পরেই পেলেন কংগ্রেসের টিকিট।মঙ্গলবার দাখিল করলেন মনোনয়নও। ২০১০ সালে মেমারি পুরসভার ১ নং ওয়ার্ড ও ২০১৫ সালে ৯ নং ওয়ার্ড থেকে তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে কাউন্সিলার নির্বাচিত হন রুপা খাঁড়া।
রুপা খাঁড়া জানান,এবারের পুরসভার ভোটে মেমারি পৌরসভার ১৩ নং ওয়ার্ড থেকে তিনি তৃণমূলের প্রার্থী হিসাবে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন কিন্তু সেখানে প্রার্থী করা হয়েছে পদ্ম ক্ষেত্রপালকে।তাই তিনি কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন পেশ করেছেন।
মেমারি ১ নং ব্লক কংগ্রেসের আহ্বায়ক আশিষ দত্ত জানান ,রুপাদেবী কংগ্রেসে যোগদান করেন এবং ১৩ নং ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হবার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তাই তাঁকে ওই ওয়ার্ডে প্রার্থী করা হয়েছে।
এদিকে, মেমারি পুরসভায় ১৩ নং ওয়ার্ডে তৃণমূল টিকিট দিয়েছে পদ্ম ক্ষেত্রপালকে।তিনিও আজ মনোনয়ন দাখিল করেন।
মেমারি্ শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি স্বপন ঘোষাল জানান ,দল যাকে যোগ্য মনে করেছে তাকে প্রার্থী করেছে। যাঁরা ব্যক্তি স্বার্থের জন্য দল করেন, তাঁরা এই রকমটাই করবেন, এটা স্বাভাবিক।তবে ভোটে তাঁর জামানত জব্দ হবে।
২০১৫ এর পৌরসভার নির্বাচনের পরিপেক্ষিতে তৃণমুল ১১ টি আসন, সিপিএম ২ টি, ১ টি কংগ্রেস ও ২ টি আসনে জয়লাভ করে নির্দল প্রার্থীরা।২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে মেমারি পুর এলাকায় তৃণমূল ১৩ টি আসনে এগিয়ে থাকলেও বিজেপি ৩ টি আসনে এগিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, রাজ্যের আসন্ন পুরসভার ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা নিয়ে জেলায় জেলায় অসন্তোষ ছড়িয়েছে। প্রার্থী তালিকা প্রকাশের দিন থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের একাংশের অসন্তোষ সামনে আসে।বিভিন্ন জায়গাতেই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। প্রার্থী হতে না পেরে তৃণমূল নেতাদের মধ্যে কেউ কেউ নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আবার কেউ কেউ দল বদলেছেন।