East Burdwan News: পূর্ব বর্ধমানে বিজেপি কর্মীর স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ
Death Threats on BJP Leader: বিজেপি কর্মীকে প্রাণনাশের হুমকি ও তাঁর স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ, তবে এই ঘটনা ঘিরে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল।
কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: পিস্তল উঁচিয়ে বিজেপি কর্মীকে (BJP Leader) প্রাণনাশের হুমকি ও তাঁর স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ। পূর্ব বর্ধমানের দুই বিজেপি নেতার (BJP Leader) বিরুদ্ধে শক্তিগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন এক দলীয় কর্মী।
বিজেপি কর্মীকে প্রাণনাশের হুমকি ও তাঁর স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ
অভিযোগকারী বিজেপি কর্মীর দাবি, সোশ্য়াল মিডিয়ায় কয়েকজন বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে তোলাবাজি, দুর্নীতি, স্বজনপোষণ নিয়ে সরব হওয়ায়, পরশু রাতে তাঁর বাড়িতে চড়াও হন পূর্ব বর্ধমানের বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি পিন্টু ওরফে পূরব সাম ও জেলা যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক দেবজ্য়োতি সিংহ রায়। তাঁকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি, মারধর, তাঁর স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি, ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় ধর্ষণের চেষ্টা ও শ্লীলতাহানির ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
বাড়ির মহিলাদের সুরক্ষা দিতে পারে না, বাংলাকে দেবে কী করে ? প্রশ্ন শাসকদলের
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা যুব মোর্চার সাধারন সম্পাদক দেবজ্যোতি সিংহ রায়। তাঁর দাবি, সোশাল মিডিয়ায় অভিযোগ তোলায়, বিজেপি কর্মীকে বোঝানোর জন্য় তাঁর বাড়িতে যাওয়া হয়। তখন টাকা চেয়েছিলেন ওই বিজেপি কর্মী। না দেওয়ায় নেতাদের মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। অন্য়দিকে, এনিয়ে কোনও মন্তব্য় করতে চাননি পূর্ব বর্ধমানের বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি পিন্টু ওরফে পূরব সাম। ঘটনা ঘিরে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। বাড়ির মহিলাদের সুরক্ষা দিতে পারে না, বাংলাকে দেবে কী করে? আক্রমণ শাসকদলের।
আরও পড়ুন, 'আদালতে এসে ইয়ার্কি হচ্ছে?', গাজিয়াবাদে উদ্ধার হওয়া OMR শিট প্রকাশের নির্দেশ বিচারপতির
প্রসঙ্গত, রাজ্যের একের পর এক গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসছে। তবে শুধুই সেটা নয়, বিজেপির অন্দরে নয়, তৃণমূলের মধ্য়ে এই অভিযোগ উঠে আসছে। একদিকে ক্রমশ এগিয়ে আসছে পঞ্চায়েত ভোট। আর দিকে দিকে, জেলায় জেলায় গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠে আসছে। একটা সময়, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরে ঘর ছাড়া হয়েছিল বিজেপি নেতা-কর্মীরা, অভিযোগ ছিল, শাসকদলের ভয়েই তাঁরা ঘর ছেড়েছিল। তাদের পরিবারের উপরেও হামলার অভিযোগ উঠেছিল। যা ইতিমধ্যেই ভোট পরবর্তী মামলায় আদালতের নির্দেশে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা খতিয়ে দেখছে। তবে গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগের মধ্যে বিজেপি কর্মীর স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে, কাঠগড়ায় খোদ নিজের দলের লোক, এমনটা খুব একটা শোনা যায়নি বলেই চাপান উতোর রাজনৈতিক মহলে।