East Burdwan: বর্ধমানে বিশ বাঁও জলে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প ‘আম্রুত’, তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা
তপন পাল বলেন, "পুরানো কল দিয়ে জল পড়ে না বললেই চলে। এক থেকে দেড় বছর আগে আবেদন করেও এখনও কানেকশন পাইনি।"
কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: কেটে গেছে পাঁচ পাঁচটা বছর। বর্ধমান পুরসভা এলাকায় বিশ বাঁও জলে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প ‘আম্রুত’। দামোদরের জল এখনও পৌঁছয়নি এলাকাবাসীর ঘরে ঘরে। ঘটনায় তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
তৈরি হয়েছে উঁচু জলাধার। পুরোনো বদলে নতুন পাইপ বসেছে রাস্তায় রাস্তায়। কিন্তু পাইপে বয়ে দামোদরের জল পৌঁছয়নি ঘরে। বর্ধমান পুরসভা এলাকায় এখনও বিশ বাঁও জলে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প ‘আম্রুত’ বা Atal Mission for Rejuvenation and Urban Transformation। কেন্দ্রের বরাদ্দ করা টাকায়, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব, মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিরেক্টরেট বা MED-র কাঁধে।
বর্ধমান পুরসভা সূত্রে খবর, ২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘আম্রুত’ প্রকল্পে দামোদরের জল পরিশ্রুত করে, পুরসভা এলাকায় বাড়ি বাড়ি জল সরবরাহের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। প্রথমে ঠিক হয়, বর্ধমান লাগোয়া ইদিলপুর থেকে দামোদরের জল তুলে সরবরাহ করা হবে। কিন্তু ইঞ্জিনিয়াররা সরেজমিনে এলাকা পরিদর্শন করে ও DVC-র সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পারেন, বছরের অন্তত ৬ মাস দামোদরের জল পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। পরবর্তীকালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ববিদদের সঙ্গে আলোচনা করে গলসির জুজুটি থেকে সরবরাহের পরিকল্পনা হয়। তবে বলা হয়, ওখানের খাদান থেকে বালি তুললে, জল পেতে সমস্যা হবে।
পাশাপাশি পুরসভা এলাকার ৭০% এলাকায় পাইপ লাইন পাতা গেলেও বাকি রাস্তা নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। বর্ধমান পুরসভার সহ-প্রশাসক আইনুল হক বলেন, "সরকারের সঙ্গে আলোচনার পর বালি খাদানের ইজারাদার সঙ্গেও বৈঠক হয়। ক্ষতিপূরণ দাবি করেন তাঁরা। বর্তমানে সে সমস্যা মেটার পথে। পূর্ত দফতরের রাস্তা বিসি রোডের মাঝ বরাবর পাইপ লাইন বসাতে হবে । বিসি রোড ছাড়াও পূর্ত দফতরের জিটি রোড, কাছারি রোড-সহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা কাটতে হবে। তারজন্য নিতে হবে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ও রেলের অনুমতি।"
বাসিন্দাদের অভিযোগ, আশ্বাসই সার। জলসঙ্কট মিটছে না কিছুতেই। তপন পাল বলেন, "পুরানো কল দিয়ে জল পড়ে না বললেই চলে। এক থেকে দেড় বছর আগে আবেদন করেও এখনও কানেকশন পাইনি। পুরসভা শুধুমাত্র আশ্বাসই দিয়ে গেছেন।পাশাপাশি জলের পাইপ লাইন করতে গিয়ে শহরের বেশীরভাগ রাস্তায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।"
এনিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা বিজেপি আহ্বায়ক কল্লোল নন্দন বলেন, "পুরসভা কাটমানি খাওয়ার জন্য কেন্দ্র সরকারের প্রকল্পের টাকা লুটেপুটে খেয়ে নিয়েছে।শহরের রাস্তা খুঁড়ে পাইপ লাইন বসাতে গিয়ে রাস্তার অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে কিন্তু জল কোথা থেকে আসবে কেউ জানে না।আসলে এটা কাটমানির প্রকল্প হয়ে গেছে।" পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, "ভিত্তিহীন অভিযোগ। মানুষের ঘরে ঘরে খুব দ্রুত জল পৌছে যাবে।"