Purba Bardhaman: 'টাকা নেই', জামালপুরের ৫৩৪ অঙ্গনওয়াড়িতে মিলল না খাবার, সঙ্কটে শিশু-অন্তঃসত্ত্বা-নতুন মায়েরা
Purba Bardhaman News: সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্পের আওতায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ৬ বছর বয়স পর্যন্ত শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা ও সদ্য মা হওয়া মহিলাদের খাবার দেওয়া হয়। কিন্তু জামালপুর ব্লকে এদিন খাবার মেলেনি।
কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: ঘোরতর অর্থসঙ্কট (Financial crisis)। তাই শনিবার পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) জামালপুর ব্লকের কোনও অঙ্গনওয়াড়ি (anganwadi) কেন্দ্রে খাবার দেওয়া যায়নি বলে দাবি শিক্ষিকাদের। ফলে খাবার না পেয়েই ফিরতে হয়েছে শিশু (Children), অন্তঃসত্ত্বা (Pregnant women) ও সদ্য মা হওয়া মহিলাদের (New mother)। জেলা প্রশাসনের আশ্বাস, দ্রুত সমস্যা সমাধান হবে।
‘আর্থিক সঙ্কটে’ খাবার বন্ধ
পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লকে শনিবার ৫৩৪টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খাবার দেওয়া যায়নি, দাবি শিক্ষিকাদের। দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা হচ্ছে বলে দাবি জেলা প্রশাসনের।
সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্পের আওতায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ৬ বছর বয়স পর্যন্ত শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা ও সদ্য মা হওয়া মহিলাদের খাবার দেওয়া হয়। কিন্তু পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লকে এদিন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে খাবার দেওয়া হয়নি। এতে সমস্যায় পড়েছেন অন্তঃসত্ত্বা ও শিশুরা।
এদিন খাবারের জন্য অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে গিয়েও ফিরে আসতে হয়। দেখা যায় কেন্দ্রে নোটিস টাঙানো রয়েছে যেখানে লেখা খাবার দেওয়া হবে না।
কী সমস্যা?
জামালপুরের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিক্ষিকাদের দাবি, গত দু’মাস ধরে তাঁরা খাবারের টাকা পাচ্ছেন না। ফলে কিনতে পারছেন না সবজি, ডিম, রান্নার জ্বালানি। এতদিন ধার করে বা নিজেদের বেতন থেকে খরচ চালিয়েছেন। আর পারছেন না।
অন্যদিকে পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা আশ্বস্ত করে বলছেন, 'আগামী সপ্তাহের মধ্যে সমস্যা মিটে যাবে।'
আরও পড়ুন: Darjeeling Murder: নাবালিকার বিয়ের প্রতিবাদ, দ্বিতীয় স্বামীকে পিটিয়ে মারলেন মহিলার প্রথম স্বামী
কিন্তু কেন এই সমস্যা? কেন মিলছে না টাকা?
কেন এই সমস্যা, তার ব্যাখ্যা দেন জামালপুর ব্লকের সুসংহত শিশুবিকাশ প্রকল্পের আধিকারিক। তাঁর দাবি, 'পোর্টালে আপডেটের সমস্যার জন্য এটা হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি এই সমস্যা মিটে যাবে। আমরা স্থানীয় পঞ্চায়েতের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছি।'
এই প্রকল্পের ওপর যাঁরা নির্ভরশীল, তাঁরা এখন দ্রুত সমস্যা সমাধানের দিকেই তাকিয়ে।