Purba Medinipur News: এগরায় দিঘাগামী পর্যটক বোঝাই বাসের সঙ্গে ডাম্পারের সংঘর্ষ, মৃত খালাসি
Purba Medinipur: রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা ডাম্পারে ধাক্কা বাসের। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ডাম্পারের খালাসির, আহত ১৬ পর্যটক। ট্যুরিস্ট বাসের চালককে আটক করেছে এগরা থানার পুলিশ।
ঋত্বিক প্রধান, এগরা: পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) এগরা থানা (Egra Police Station) এলাকার পানিপারুলে দিঘাগামী ট্যুরিস্ট বাসের সঙ্গে ডাম্পারের সংঘর্ষ। খালাসির মৃত্যু। আহত ১৬ জন পর্যটক। সকাল ৯টা নাগাদ এগরা-পানিপারুল রোডে দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে খবর, পণ্য নামানোর জন্য রাস্তার ধারে ডাম্পার দাঁড় করান চালক। সেইসময় পিছন থেকে ডাম্পারে ধাক্কা মারে দিঘাগামী বাস। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ডাম্পারের খালাসির। ট্যুরিস্ট বাসের চালককে আটক করেছে এগরা থানার পুলিশ।
রুবি মোড়ের কাছে দুর্ঘটনা
এদিকে, সাতসকালে ইএম বাইপাসে রুবি মোড়ের কাছে দুর্ঘটনা। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেল মিনিডোর। আহত ২ যাত্রী। সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ দুর্ঘটনা ঘটে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সূর্যপুর থেকে সবজি নিয়ে মিনিডোরে চড়ে বেলেঘাটার রাসমণি বাজারে যাচ্ছিলেন ৯ জন ব্যবসায়ী। যাত্রীদের দাবি, আরেকটি গাড়িকে পাশ কাটাতে গিয়ে মিনিডোর উল্টে যায়। কসবা থানার ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ কর্মীরা সকলকে উদ্ধার করেন। মিনিডোরের চালক পলাতক। বেপরোয়া গতি ও ওভারলোডিংয়ের কারণেই দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিক তদন্তে দাবি পুলিশের।
দুর্গাপুরে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু
অন্যদিকে, সঙ্গে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, অথচ ১৪ ঘণ্টা ধরে পাঁচ-পাঁচটা হাসপাতাল ঘুরেও ভর্তি হতে না পেরে বিনা চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠল পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে। মৃতদেহ নিয়ে প্রায় চারঘণ্টা ধরে চলল পথ অবরোধ।
আরও পড়ুন উচ্চমাধ্যমিক শুরুর দিনই দুর্ঘটনায় গেল শিক্ষিকার প্রাণ, কান্নায় ভেঙে পড়লেন সহকর্মীরা
ঘটনার সূত্রপাত গতকাল দুপুর ১টা নাগাদ। দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে মোটরবাইকের ধাক্কায় গুরুতর জখম হন ৬০ বছরের নির্মল মণ্ডল। পরিবারের অভিযোগ, এরপর দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ, বর্ধমানের অনাময়, কাঁকসার গৌরীদেবী হাসপাতাল ও দুর্গাপুরের সনকা হাসপাতাল ঘুরেও সঙ্কটজনক ওই ব্যক্তিকে ভর্তি করা যায়নি। রাত তিনটে নাগাদ মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। এরপর ভোর চারটে থেকে মৃতদেহ নিয়ে দুর্গাপুর-লাউদোহা রোড অবরোধ শুরু করেন মৃতের আত্মীয়-পরিজনেরা। পুলিশের আশ্বাসে চারঘণ্টা পর অবরোধ ওঠে।
ভেন্টিলেশন বেড খালি না থাকায় রোগীকে অন্যত্র রেফার, দাবি গৌরীদেবী হাসপাতালের। মৃত অবস্থায় রোগীকে আনা হয়েছিল, দাবি সনকা হাসপাতালের সুপারের। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে আইসিইউ-তে রেখে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। মস্তিষ্কে আঘাত ছিল, নিউরো সার্জন না থাকায় রেফার, দাবি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের।