Purba Medinipur: এক আসনে ২ জন জয়ী প্রার্থী! শংসাপত্র 'বিভ্রাট' ঘিরে উঠছে প্রশ্ন
Panchayat Election: এক পঞ্চায়েতে দুই বিজয়ী প্রার্থী। দুই প্রার্থীর হাতেই এপিআরও-র স্বাক্ষর করা জয়ের শংসাপত্র। এমনই নজিরবিহীন ঘটনা সামনে এল বিরোধী দলনেতার জেলায়।
বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: একটিই আসন। সেখানে লড়াই করা দুই প্রার্থীকেই দেওয়া হয়েছে জয়ের শংসাপত্র। তৃণমূলের প্রার্থীও পেয়েছেন, পেয়েছেন নির্দল প্রার্থীও। এমনই ছবি নন্দীগ্রামের কেন্দামারি জালপাই পঞ্চায়েতের (Panchayat Election) একটি আসনে। এমন ঘটনায় কে ওই আসনের দাবিদার তা নিয়েও চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
এক পঞ্চায়েতে দুই বিজয়ী প্রার্থী। দুই প্রার্থীর হাতেই এপিআরও-র স্বাক্ষর করা জয়ের শংসাপত্র। এমনই নজিরবিহীন ঘটনা সামনে এল বিরোধী দলনেতার জেলায়। নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের কেন্দামারি জালপাই পঞ্চায়েতের ২২টি আসনে লড়াই ছিল মূলত তৃণমূল ও নির্দলের। টিকিট না পেয়ে এই পঞ্চায়েতে নন্দীগ্রাম আঞ্চলিক উন্নয়ন পর্ষদ'-এর ব্যানারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রার্থী হন তৃণমূলেরই প্রাক্তন পদাধিকারীরা।
কিন্তু জয়ী কে? নির্দল প্রার্থী নাকি তৃণমূলের প্রার্থী? নন্দীগ্রাম (Nandigram) ১ নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েতের একটি আসনে সে নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। কেন্দামারি জালপাই পঞ্চায়েতের ২১৭ নম্বর আসনে তৃণমূলের প্রার্থী তাপসী দোলই। নন্দীগ্রাম আঞ্চলিক উন্নয়ন পর্ষদ-এর সমর্থনে নির্দল প্রার্থী রীতা বল্লভ। তাঁর দাবি, ১১ জুলাই ভোট গণনার দিন, তাঁকে ১৮১ ভোটে জয়ী ঘোষণা করে এপিআরও-র সই ও স্ট্যাম্প-সহ শংসাপত্র দেওয়া হয়। নির্দল প্রার্থীকে জয়ের শংসাপত্র দেওয়ার ঠিক সাতদিনের মাথায় সোমবার, তাঁকে ফোন করে জানানো হয় ওই শংসাপত্রে ভুল রয়েছে। বিডিও অফিসে দেখা করতে বলা হয় তাঁকে। সেদিনই, তৃণমূলের প্রার্থীকে ১৮১ ভোটে জয়ী ঘোষণা করে শংসাপত্র দিয়ে দেওয়া হয়। তাতেও এপিআরও-র সই ও স্ট্যাম্প রয়েছে।
নন্দীগ্রামের কেন্দামারি জালপাই পঞ্চায়েতের নির্দল প্রার্থী রীতা বল্লভ বলেন, 'আমি যেখানে সার্টিফিকেট পেয়েছি। বিডিও অফিস থেকে সই-সহ সার্টিফিকেট রয়েছে। সেখানে কীভাবে তাপসী দোলই পরে সার্টিফিকেট পেতে পারে। আমি আইনের পথে যাচাই করে দেখতে চাই।'
অন্যদিকে নন্দীগ্রামের কেন্দামারি জালপাই পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রার্থী তাপসী দোলই বলেন, 'আমার এজেন্ট এসে বলেছিল তুমি হেরে গিয়েছ। আমি জিতেছিলাম। আমি সাইড থেকে দেখেছি আমি ১৮১ ভোটে জিতেছি। আমায় হারিয়ে দিয়েছিল।'
মঙ্গলবার, বিডিও দফতরে গেলেও তাঁর দেখা পাননি নির্দল প্রার্থী। ইমেলের মাধ্যমে বিডিও ও রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন।
নন্দীগ্রামে এক পঞ্চায়েতে দুই বিজয়ী প্রার্থী থাকায় তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। সিপিএমের (CPIM) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'একই রিটার্নিং অফিসার একবার নির্দল প্রার্থীকে শংসাপত্র দিচ্ছেন, তারপরে আবার তৃণমূল প্রার্থীকে শংসাপত্র দিচ্ছেন। ভারতবর্ষে এই ভোটের চেয়ে বড় প্রহসন আর হয়নি।' নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি বাপ্পাদিত্য় গর্গের দাবি, 'Form 21-এ তথ্য় রয়েছে, সেগুলিই নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে উঠেছে, কীভাবে হেরে যাওয়া প্রার্থীকে জয়ের শংসাপত্র দেওয়া হল তা তদন্ত করে দেখা উচিত।' নন্দীগ্রাম ১-এর বিডিও জানিয়েছেন, বিষয়টি নজরে এসেছে। আমরা তদন্ত করে পদক্ষেপ নিচ্ছি।
আরও পড়ুন: ফের ভাঙড়ে গুলি! জখম পরাজিত TMC প্রার্থী, অভিযুক্ত ISF