R G Kar Nabanna Abhijan: ড্রোনে নজরদারি, দু'মানুষ উঁচু ব্যারিকেড, নবান্ন অভিযান রুখতে পথে পথে লৌহপ্রাচীর, তৈরি জলকামান
RG কর-কাণ্ডে বিচারের দাবিতে আজ ফের নবান্ন অভিযান। কলকাতা-হাওড়া জুড়ে তৎপর পুলিশ। রেড রোডে রাস্তা রুখতে এল কন্টেনার।

ঐশী মুখোপাধ্যায় , আবির দত্ত , ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, পার্থপ্রতিম ঘোষ: ১ বছর আগে, এই দিন শেষ করে দিয়েছিল স্বপ্ন!
নড়িয়ে দিয়েছিল বিশ্বাসের ভিত! কেড়ে নিয়েছিল মা-বাবার সন্তান। আজ সেই ৯ অগাস্ট। বিভীষিকাময় দিনের ১ বছর। সরকারি হাসপাতালে ডিউটি আওয়ার্সে এক তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও মৃত্যু। সময় এগিয়েছে। হয়েছে তদন্তও। দোষী সাব্যস্তও হয়েছে একজন। কিন্তু সেই তদন্তে মোটেই খুশি নয় নির্যাতিতার পরিবার ও আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের এখনও বিশ্বাস, সঞ্জয় রাই একাই দোষী নয়, এই অপরাধের শিকড় অনেক গভীরে। তাই আবার একটা ৯ অগাস্টে দাঁড়িয়ে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছেন নির্যাতিতার মা-বাবা ।
এদিকে শনিবারের 'নবান্ন অভিযানের' বিরোধিতায় মামলা করে, হাওড়ার মঙ্গলাহাট ব্যবসায়ী সমিতি এবং জোড়াসাঁকো এলাকার ফল বিক্রেতাদের সংগঠন আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। আদালতের নির্দেশ অনুসারেই শুক্রবার বিকল্প জায়গার প্রস্তাব দেয় সরকার।নবান্ন অবধি মিছিল যাতে না পৌঁছতে পারে, তার জন্য তৎপর পুলিশ।
রেড রোডের দুই প্রান্তে দাঁড় করানো হয়েছে বড় বড় ২টি কন্টেনার। নবান্নমুখী রাস্তাগুলোতে বাঁশ ও লোহার ব্যারিকেড বেঁধে পোক্ত করা হয়েছে নিরাপত্তা। হাওড়ার ফোরশোর রোডেও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রায় দু’ মানুষ সমান উঁচু ব্যারিকেড তৈরি করে কংক্রিটের ঢালাই করা লোহার বিমের সঙ্গে বাঁধা হয়েছে। তাতে আটকানো তারের জালি। কার্যত মাছি গলার উপায় নেই। মোতায়েন থাকছে পুলিশ, র্যাফ, কমব্যাট ফোর্স। ড্রোনের মাধ্যমেও চলবে নজরদারি। আনা হয়েছে জল কামানও। অর্থাৎ রাজ্যের বার্তা স্পষ্ট, কোনও ভাবেই অভিযানের অভিমুখ যেন নবান্ন না হয়।
'নবান্ন অভিযান' নিয়ে আদালতে বিকল্প জায়গার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে করা হোক শনিবারের অভিযান, সমাবেশ বা প্রতিবাদ সভা, বলা হয়েছে পুলিশের তরফে। তাই রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়েও লৌহকপাট তৈরি করা হয়েছে । লোহার ব্য়ারিকেড শিকল দিয়ে বাঁধা। পুলিশের তরফে ‘শান্তি বজায় রাখুন’, ‘ডোন্ট ক্রস লাইন‘ লেখা ব্যানারে ছেয়ে গেছে গোটা রাস্তা।
হাওড়া ব্রিজে ওঠার অ্যাপ্রোচ রোডগুলোতেও নিরাপত্তার কড়াকড়ি। প্রায় ১২ ফুট উঁচু লোহার গার্ডরেল মাটি খুঁড়ে পোঁতা হয়েছে। RG কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে গত বছরের ২৭ অগাস্ট নবান্ন অভিযানে ব্যাপক অশান্তি হয়েছিল। ৪৭ জন পুলিশকর্মী আহত হন। পুলিশ জলকামান চালাতে বাধ্য হয়। একজন পুলিশকর্মীর চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গ্রেফতার করা হয় ১৪৭ জনকে। তাই এবার আরও কড়া নিরাপত্তা। নবান্নে যাতে মাছি গলতে না পারে, তার জন্য সাঁতরাগাছি এবং কোনা এক্সপ্রেসওয়ের বেলেপোলেও আঁটোসাঁটো করা হয়েছে নিরাপত্তা। দু’ মানুষ সমান উঁচু ব্যারিকেড টিন দিয়ে ঘেরা। রয়েছে ড্রোন, জল কামান, দমকল। সকাল সকাল রাস্তায় নেমেছেন পুলিশ আধিকারিকরা।























