(Source: Poll of Polls)
Ration Scam: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আপ্ত সহায়ককে ফের জিজ্ঞাসাবাদ, সিজিও-তে অমিত দে ও অভিজিৎ দাস
Amit Dey: মেরুন ডায়েরিতে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের হিসেব। বৃহস্পতিবার নাগেরবাজারে অমিতের একাধিক ফ্ল্যাটে হানা দেয় ইডি।
কলকাতা: ইডির তলবে ফের সিজিও-তে অমিত দে ও অভিজিৎ দাস। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আপ্ত সহায়ক অমিত দে-কে ফের জিজ্ঞাসাবাদ। গতকালের পর আজও সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির অমিত দে, অভিজিৎ দাস। ইডির দাবি অভিজিৎ দাসের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে 'বালু দা' লেখা মেরুন ডায়েরি। মেরুন ডায়েরিতে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের হিসেব। বৃহস্পতিবার নাগেরবাজারে অমিতের একাধিক ফ্ল্যাটে হানা দেয় ইডি। ২০১১ সালে খাদ্যমন্ত্রী হওয়ার পর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আপ্ত সহায়ক হন অমিত দে। নামে-বেনামে প্রচুর সম্পত্তি অমিতের নামে, আছে রিসর্টও। রেশন দুর্নীতির টাকায় ঢুকেছে অমিতের অ্যাকাউন্টে, দাবি ইডির।
রেশন দুর্নীতি মামলায়, আগেই জড়িয়ে গেছিল প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম। তারপর বৃহস্পতিবার সল্টলেকে তাঁর দু'টি বাড়িতে ২০ ঘণ্টার ম্য়ারাথন তল্লাশি চালাল ED. শেষমেষ গভীররাতে গ্রেফতার হন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। শুক্রবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে পেশ করা হলে ইডি হেফাজতের নির্দেশ শুনেই এজলাসে মূর্ছা যান জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বমিও করে ফেলেন তিনি! মাথায় জল ঢেলে মন্ত্রী-কে কিছুটা ধাতস্থ করেন মেয়ে। এরপর এজলাসের বাইরের বারান্দায় ফ্যান চালিয়ে বসানো হয় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। ইডির অনুরোধে, তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বিচারকের বাতানুকূল চেম্বারে। পরে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
আপাতত অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় ধৃত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মন্ত্রীর শরীরে গুরুত্বপূর্ণ প্যারামিটারগুলির মাত্রা স্বাভাবিকের মধ্যেই রয়েছে। চিকিৎসা পরিভাষায় যাকে বলা হয়, হেমোডাইনামিক্যালি স্টেবল। সোডিয়াম-পটাসিয়ামের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে। মেডিসিন বিশেষজ্ঞ নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধীনে CCU-তে ভর্তি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। হাসপাতাল সূত্রে খবর, হৃদযন্ত্রে কোনও দুর্বলতা আছে কি না জানতে, আজ মন্ত্রীর হল্টার মনিটরিং করা হচ্ছে। এছাড়াও, কিছু রুটিন পরীক্ষার জন্য রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। অন্যদিকে, মন্ত্রী ভর্তি থাকায় অ্যাপোলো হাসপাতালে ঢোকায় নিরাপত্তার কড়াকড়ি রয়েছে। এ নিয়ে আজ রোগী ও তাঁদের আত্মীয়-পরিজনেদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়।
অন্যদিকে উঠে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য, 'শুধুমাত্র জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকই নন, রেশন দুর্নীতিতে যুক্ত তাঁর স্ত্রী ও মেয়েও'। আদালতে এমনই দাবি করে ইডি। '২০১৫-১৬ সালে নির্বাচন কমিশনে দেওয়াল হলফনামায় জ্যোতিপ্রিয়র স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে দেখানো হয় ৪৫ হাজার টাকা'। পরের বছরই দেখা যায় সেই টাকার অঙ্ক গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি । গতকাল বিস্ময়প্রকাশ করে বিচারক বলেন, আমার কাছে এটা আশ্চর্যের যে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রীর সম্পত্তি কী করে একবছরে ৪৫ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ৬ কোটি টাকা হয়ে গেল? আদালতে ইডির আইনজীবী দাবি করেন, জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিক নিজের বাড়ির পরিচারক থেকে রাঁধুনির নামে কোম্পানি খুলেছিলেন।