Ration Scam: ICU থেকে জেনারেল কেবিনে মন্ত্রী! কাল বৈঠকে মেডিক্যাল টিম
Ration Corruption: জ্যোতিপ্রিয়র শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট ইডিকে পাঠিয়েছে হাসপাতাল
কলকাতা: রেশন দুর্নীতিতে (Ration Corruption) ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে আইসিইউ (ICU) থেকে জেনারেল কেবিনে স্থানান্তর। কাল বিকেল ৩টা নাগাদ বৈঠকে বসবে মেডিক্যাল টিম। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে (Jyotipriya Mallick) ছাড়া নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা। জ্যোতিপ্রিয়র শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট ইডিকে পাঠাল হাসপাতাল। জ্যোতিপ্রিয়র সমস্ত পরীক্ষার রিপোর্ট স্বাভাবিক, অ্যাপোলো হাসপাতাল সূত্রে খবর। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের জন্য আনা হয়েছিল মনোরোগ বিশেষজ্ঞ। দুশ্চিন্তায় ভুগছেন, মত মনোরোগ বিশেষজ্ঞের।
রবিবার ফের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে অ্যাপোলো হাসপাতালে যায় ED'র টিম। হাসপাতালের তরফে মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়েছে, রবিবার মন্ত্রীর হল্টার মনিটরিং শেষ হয়েছে, তাতে হদযন্ত্রের কোনও সমস্যা মেলেনি। মন্ত্রী, বাঁ হাতে সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন। সেই কারণে মাথা ও শিরদাঁড়ার MRI করা হয়। তবে তাতে স্নায়ুর কোনও সমস্যা মেলেনি। এছাড়া তিনি পুরোপুরি স্থিতিশীল রয়েছেন। রক্তের সব রিপোর্ট স্বাভাবিক এসেছে। মন্ত্রীকে ডায়াবেটিক খাবার দেওয়া হচ্ছে।
রেশন দুর্নীতির তদন্তে খোঁজ মিলেছে আরও ৫টি ভুয়ো সংস্থার। ED সূ্ত্রে দাবি করা হয়েছে যে বাকিবুরের বন্ধ হয়ে যাওয়া ৩টি সংস্থার উপরেও নজর রাখা হচ্ছে।
কোন কোন সংস্থা?
শ্রী হনুমান রিয়েলকন
গ্রেসিয়াস ইনোভেটিভ
গ্রেসিয়াস ক্রিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেড
মেসার্স AJ অ্যাগ্রোটেক
মেসার্স AJ রয়্যাল
এই পাঁচটি ভুয়ো সংস্থার নামই উঠে এসেছে রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে । ইডির দাবি, এখানেই শেষ নয়, খোঁজ মিলেছে আরও বেশ কয়েকটি ভুয়ো সংস্থার। আর সেই সংস্থাগুলি জড়িত রেশন-কেলেঙ্কারির সঙ্গে। কালো টাকা সাদা করার জন্য খোলা হয়েছিল বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। ED-র নজরে রয়েছে, ধৃত ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের ৩টি বন্ধ হয়ে যাওয়া কোম্পানিও। সেগুলি হল, ইউনিকন কমোডিল প্রাইভেট লিমিটেড, গুডলাইফ ডিলার্স প্রাইভেট লিমিটেড, এভারনিউ কমোসেলস প্রাইভেট লিমিটেড। এই তিন সংস্থারই প্রথম ডিরেক্টর ছিলেন বাকিবুর রহমান। দ্বিতীয় ডিরেক্টর ছিলেন তাঁর আত্মীয় শাহিদুল রহমান। ২০০৯ সালের ৩১ জুলাই চালু হয়েছিল সংস্থাগুলি। ৩১ মার্চ, ২০১৯-এ একই দিনে তিনটিই বন্ধ হয়ে যায়। তিনটি সংস্থারই ঠিকানা ছিল উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে।
যে যে প্রশ্ন উঠছে:
১০ বছরের মাথায় হঠাৎ তিন-তিনটি কোম্পানি বন্ধ করে দেওয়া হল কেন?
এই সংস্থাগুলির অ্যাকাউন্ট থেকে কি কোনও প্রভাবশালীর সঙ্গে লেনদেন হয়েছিল?
৩ সংস্থার অ্যাকাউন্ট থেকেও কি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নির্দেশে তৈরি ৩ ভুয়ো কোম্পানিতে টাকা ঢুকেছে? এরই উত্তর খুঁজছে ED।
আরও পড়ুন: জাতীয় নিরাপত্তা লঙ্ঘন, ঘুষ নেওয়ায় ৩ বছরের জেল, হুঁশিয়ারি নিশিকান্তের, পাল্টা মহুয়াও