Sovan-Baishakhi Update: রত্না 'অপ্রাসঙ্গিক', বললেন বৈশাখী, 'ওদের নিয়ে কথা বলতে চাই না', মন্তব্য দুলালের
Ratna Chatterjee: বুধবার দুপুরে আচমকা নবান্নে হাজির হন শোভন এবং বৈশাখী। সটান ১৪ তলায় গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা কথা বলেন তাঁরা।
কলকাতা: ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েন প্রভাব ফেলেছিল রাজনৈতিক জীবনে। তার জেরে তৃণমূলের (TMC) সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় তাঁর। এখন আবার শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee) তৃণমূলের কাছাকাছি যেতেই রত্না চট্টোপাধ্যায়ের (Ratna Chatterjee) অবস্থান ঘিরে কৌতূহল দেখা দিয়েছে। কিন্তু রত্নার মতামত বা তাঁর উপস্থিতিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ শোভন এবং তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় (Baishakhi Banerjee)। তাঁদের জীবনে রত্না সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক বলে মন্তব্য করেন বৈশাখী।
রত্না 'অপ্রাসঙ্গিক', বললেন বৈশাখী
বুধবার দুপুরে আচমকা নবান্নে হাজির হন শোভন এবং বৈশাখী। সটান ১৪ তলায় গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা কথা বলেন তাঁরা। তার পর বাইরে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন। সেখানে রত্নার প্রসঙ্গ উঠলে, শোভনের হয়ে জবাব দিতে শোনা যায় বৈশাখীকে। তাঁদের তৃণমূলে ফেরার পথে রত্না কোনও ভাবে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেন কিনা প্রশ্ন করা হয়। জবাবে বৈশাখী বলেন, "মানুষ যাঁকে দেখে তৃণমূল করেন, তাঁর সঙ্গেই দেখা করতে এসেছিলাম আমরা। আপনারা যে নাম নিয়ে আলোচনা করছেন, তিনি আমাদের কাছে ততটা প্রাসঙ্গিক নন।"
এ প্রসঙ্গে রত্নার বাবা তথা তৃণমূল নেতা দুলাল দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, "ওদের ব্যাপারে কোনও কথা বলতে চাই না আমি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছেন। তিনি যেটা ভাল মনে করেন করবেন। কিন্তু যে নামগুলি নিয়ে আলোচনা করছেন, তাদের নিয়ে কথা বলতে চাই না।"
তৃণমূল সূত্রে খবর, বেশ কিছু দিন ধরেই তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব ঘোচাতে উদ্যোগী হয়েছিলেন শোভন। তাতে রত্নার সঙ্গে আগেই কথা বলেন দলীয় নেতৃত্ব। শোভনের ফেরার সম্ভাবনার কথা উঠলে, তিনি আপত্তি করেননি বলে দলীয় সূত্রে খবর। তার পরই এ দিন শোভন এবং বৈশাখীর সঙ্গে নবান্নে সাক্ষাৎ করেন মমতা।
শোভন-বৈশাখীকে কটাক্ষ কুণালের
কিন্তু শোভনকে তৃণমূলে ফেরানো হবে কিনা, ফিরলে কোন পদ দেওয়া হবে, এখনও পর্যন্ত তা পরিষ্কার নয়। বরং এ দিন নবান্নে শোভন-বৈশাখী যাওয়ার পর, তাঁদের একরকম ভাবে কটাক্ষ করতেই শোনা যায় তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে। বিজেপি ক্ষমতায় আসতে চলেছে ভেবে অনেকেই গেরুয়া শিবিরে ভিড়েছিলেন। এখন তাঁদের দলে ফেরানো হবে কি না, তা দলীয় নেতৃত্বই সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান তিনি।