(Source: Poll of Polls)
Recruitment Scam: 'টাকা নিয়ে চাকরি দিয়েছেন..', তেহট্টর TMC বিধায়ককে ফের তলব CBI-এর
CBI On Tehatta TMC MLA Tapas: একাধিক লোককে বিধায়ক টাকা নিয়ে চাকরি দিয়েছেন বলে অভিযোগ, তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহাকে ফের তলব সিবিআই-এর..
নদিয়া: তেহট্টর তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহাকে ফের তলব সিবিআই-এর ( CBI On Nadia Tehatta TMC MLA )। তলব অনুযায়ী সিবিআই দফতরে পৌঁছলেন তাপস সাহা। দুঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে যান তাপস সাহা।এসপি পদমর্যাদার এক অফিসারের নেতৃত্বে তাপস সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ।
২০২৩-এ টাকা নিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার মামলায় বিধায়ককে তলব করা হয়। বিধায়কের কণ্ঠের নমুনা সংগ্রহ সিবিআইয়ের। একাধিক লোককে বিধায়ক টাকা নিয়ে চাকরি দিয়েছেন বলে অভিযোগ। প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বেশ কিছু স্কুলে চাকরি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ। এই মামলায় আগেও তাপস সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। তাঁর বাড়িতে গিয়েও তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই।
দুই সর্বভারতীয় পরীক্ষা NEET এবং NET-এ বেনিয়মের অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় চলছে। তার মধ্যেই এবার রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের সক্রিয় হল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। শুক্রবার, তেহট্টর তৃণমূল বিধায়কের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করল সিবিআই। তাপস সাহার বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ সামনে আসে ২০২২ সালে। বিভিন্ন সরকারি দফতরে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায় ১৬ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে তেহট্টর তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে।
২০১৮ সাল থেকে চাকরি দেওয়ার নামে ৫ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা করেন বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডলে একটি অডিও ক্লিপও শেয়ার করেন তিনি, যাতে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে চাকরি দেওয়া ও তার জন্য টাকার লেনেদেনের বিষয়ে দুই ব্যক্তির মধ্যে কথপোকথন শোনা যায়। বিজেপি নেতা অভিযোগ করেন, ফোনের একটি কণ্ঠ হচ্ছে তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার। যদিও তা অস্বীকার করেন তৃণমূল বিধায়ক।
তাপস সাহার আইনজীবী দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, না, ওটা রয়েছে। যেহেতু মামলাটা পেন্ডিং আছে। এখনও তদন্ত চলছে। ACB থেকে ওঁদের কাছে স্যর পাঠিয়েছিলেন। তারপর চিফ জাস্টিসের কাছে মামলাটা রয়েছে। মান্থলি লিস্টে মামলাটা পেন্ডিং আছে। ওনারা তদন্ত করছেন CBI। তাপস সাহার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে রাজ্য পুলিশের দুর্নীতিদমন শাখাও। নিম্ন আদালতে তারা যে রিপোর্ট পেশ করেছিল তাতে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন, সিঙ্গুরে রচনার হাত থেকে পতাকা তুলে নিলেন BJP নেতারা, বললেন 'সবার তৃণমূলে আসা উচিত..'
বিধায়কের আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়াল জেরায় দাবি করেছেন, চাকরি দেওয়ার নাম করে ৩০-৩৬ জনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন। সেই টাকা তাঁর মাধ্যমেই তৃণমূল বিধায়কের কাছে গেছে । চাকরি-বিক্রির কমিশন হিসাবে তিনি আরও ৩০-৪০ লক্ষ টাকা পেয়েছেন । এই টাকা দিয়ে স্ত্রীর নামে একাধিক জমি ও বাড়ি কিনেছেন বলে, জেরায় বিধায়কের আপ্ত সহায়ক জানিয়েছেন। রিপোর্টে এমনটাই দাবি করে রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।