Jiban Krishna Saha : নিয়োগ দুর্নীতিতে কীভাবে নাম জড়াল তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার ?
CBI : বিধায়কের বাড়ির পাশে ঝোপে যে ৫টি ব্যাগ উদ্ধার হয়েছে, তাতেও চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা ও আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে বলে সিবিআই সূত্রের দাবি

প্রকাশ সিন্হা, অনির্বাণ বিশ্বাস ও অনির্বাণ বাগচী, কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) র্যাকেটে জড়িত বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা (TMC MLA Jiban Krishna Saha)। চাকরিপ্রার্থীদের বয়ানে উঠে এসেছে তাঁর নাম ! এমনটাই দাবি করা হচ্ছে সিবিআই সূত্রে। বিধায়কের বাড়ির পাশে ঝোপে যে ৫টি ব্যাগ উদ্ধার হয়েছে, তাতেও চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা ও আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে বলে সিবিআই সূত্রের দাবি। বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে রাজ্য-রাজনীতি !
জীবনকৃষ্ণের উত্থান-
শুক্রবার দুপুরে বীরভূমের সিউড়ি-র সভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যখন তৃণমূলকে দুর্নীতির অস্ত্রে আক্রমণ করছেন, ঠিক সেই সময় ৪৭ কিলোমিটার দূরে সিবিআইয়ের টিম হানা দিয়েছিল মুর্শিদাবাদের বড়়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে ! নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে শাসকদলের কোনও জনপ্রতিনিধির বাড়িতে এত দীর্ঘ সময় তল্লাশি অভিযানের নজির নেই বাংলায় !
কিন্তু, শিক্ষকের ভূমিকা থেকে প্রথমবার শাসকদলের জনপ্রতিনিধি হওয়া জীবনকৃষ্ণ সাহার নাম কীভাবে জড়িয়ে গেল নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ? CBI সূত্রের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে জেলায় জেলায় যে বিরাট র্যাকেট চলছে, তা আগেই সামনে এসেছে।
দেখার বিষয় ছিল, ওই র্যাকেটগুলো চালাচ্ছে কারা। সেই তদন্তে এগোতে গিয়ে কয়েকজন চাকরিপ্রার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সিবিআই সূত্রের দাবি, সেই সূত্রেই সামনে আসে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার নাম। নির্দিষ্ট করে অভিযোগ করা হয়, ৫ লক্ষ, ৭ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাকরিপ্রার্থীদের নাম সুপারিশ করতেন জীবন ! দুর্নীতির এই Black line-এ উঠে আসে সেই কুন্তল ঘোষের নামও।
সিবিআই সূত্রের খবর, শুক্রবার বাড়িতে হানা দেওয়ার পর থেকে, যত সময় গড়িয়েছে একটু একটু করে ভেঙেছেন জীবনকৃষ্ণ ! শেষ পর্যন্ত শনিবার জীবনকৃষ্ণ মুখ খোলার পরে পাঁচ-পাঁচটি ব্যাগ উদ্ধার করেন গোয়েন্দারা। সিবিআই সূত্রে দাবি, ওই ব্যাগে চাকরিপ্রার্থীদের নামের তালিকা, অ্যাডমিট কার্ড, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত অনেক তথ্য পাওয়া গেছে !
প্রশ্ন উঠছে, এখানেই কি ২-এ ২-এ ৪ করতে চাইছেন গোয়েন্দারা ? জীবনকৃষ্ণকে ধরে কি তদন্তের জাল গুটিয়ে আনতে চাইছেন তাঁরা ? বড়ঞার জীবনকৃষ্ণ সাহাকে নিয়ে কটাক্ষ করেছেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। শুধু তাই নয়, দুর্নীতিকাণ্ডে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের দিকেও আঙুল তুলেছেন সুজন।
১৯৯৮-তে তৃণমূল তৈরির ২৫ বছর পরে, ২০২১-এর বিধানসভায় প্রথমবার মুর্শিদাবাদের বড়ঞায় জীবন পায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল ! কিন্তু নিয়োগ দুর্নীতির দায়ে সিবিআইয়ের কাঠগড়ায় সেই জীবন! বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক।






















