Chandranath Sinha House ED Raid : চন্দ্রনাথ সিনহার বাড়ি থেকে ৪১ লাখ টাকা উদ্ধার, কোথা থেকে এত টাকা, কেনই বা বাড়িতে রাখা?
Minister Chandranath Sinha ED Raid : শুক্রবার সকাল সোয়া ৯টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত, প্রায় ১৪ ঘণ্টা ধরে বোলপুরের নায়েক পাড়ায় চন্দ্রনাথ সিন্হার বাড়িতে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
প্রকাশ সিনহা, ভাস্কর মুখোপাধ্যায় : ২০২২ সালের জুলাই মাস। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি। সারা বাংলায় সাড়া ফেলে দেওয়া ঘটনা। একসঙ্গে এমন টাকার পাহাড় বাঙালির কাছে বিরল তো বটেই। কোটি কোটি টাকা গুণতে গুণতে দিনের পর দিন পেরিয়ে যায়।
তার পর পেরিয়ে যেতে চলেছে আরো ২ বছর। সামনে এবার লোকসভা ভোট। শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি ( Recruitment Scam ) মামলায় রাজ্যের আরও এক মন্ত্রীর বাড়ি থেকে নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি করেছে ED। শুক্রবার সকাল সোয়া ৯টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত, প্রায় ১৪ ঘণ্টা ধরে বোলপুরের নায়েক পাড়ায় চন্দ্রনাথ সিন্হার বাড়িতে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
ED সূত্রে দাবি, ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প মন্ত্রীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ ৪১ লক্ষ টাকা। টাকার উৎস সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে চন্দ্রনাথ সিন্হা সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি বলে ED-র দাবি। ভোটের আগে এত টাকা মন্ত্রীর বাড়িতে কেন, টাকার উৎসই বা কী, জানতে চায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি। ED সূত্রে খবর, চন্দ্রনাথ সিন্হার বাড়ি থেকে নগদ টাকা ছাড়াও মিলেছে গুরুত্বপূর্ণ নথি। তাঁর মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রতিক্রিয়া জানতে যোগাযোগ করা হলে, কিছু বলতে চাননি নিয়ে মন্ত্রী।
শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে শুক্রবার চন্দ্রনাথ সিন্হার বোলপুরের বাড়িতে হানা দেয় ED। মুরারইয়ে গ্রামের বাড়িতে ছিলেন মন্ত্রী। তাঁকে ডেকে পাঠান ED-র আধিকারিকরা। পৌনে ২টো নাগাদ বোলপুরের বাড়িতে পৌঁছন মন্ত্রী। তারপর থেকে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রে দাবি, যুব তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতা কুন্তল ঘোষকে গ্রেফতারির আগে তাঁর বাড়িতে যখন তল্লাশি চালানো হয়েছিল, তখন উদ্ধার হয়েছিল একটি রেজিস্টার। ইডি সূত্রে দাবি, সেই রেজিস্টারে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিন্হার নাম মিলেছে। ইডি সূত্রে আরও দাবি, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিন্হার নামের পাশেই ছিল একশোজন প্রার্থীর তালিকা। কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে দাবি, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত তাপস মণ্ডল ও কুন্তল ঘোষের বয়ানেও মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিন্হার নাম উঠে আসে। তাঁদের জেরা করে একজন মধ্যস্থতাকারীর নামও পাওয়া যায়। সেই মধ্যস্থতাকারীর বক্তব্য়েও মিলেছে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিন্হার নাম। ইডি সূত্রে দাবি, চন্দ্রনাথ সিন্হাই ওই ১০০ জন প্রার্থীর নাম স্কুলে চাকরির জন্য সুপারিশ করেছিলেন কিনা? তিনি সুপারিশ করে থাকলে, তাঁর সুপারিশ করা প্রার্থীদের বেআইনিভাবে নিয়োগ হয়েছিল কিনা? স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি চক্রের অন্যতম বড় মডিউল কি বীরভূমে সক্রিয়?
সে বিষয়ে জানতেই মন্ত্রীর বাড়িতে তাঁদের এই অভিযান।
আরও পড়ুন :