Recruitment Scam : 'পৃথিবীর কারোর ক্ষমতা নেই আমার সাহেবকে ছোঁবে...' ঠিক কী বলেছিলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার 'কালীঘাটের কাকু'
Kalighater Kaku Arrested : তাপস মণ্ডল বর্ণিত কালীঘাটের কাকু জুড়েছিলেন, 'আমার সাহেব অভিষেক ব্যানার্জি। ওঁর অফিসে চাকরি করি। ২০০৯ সাল থেকে।'

কলকাতা : দীর্ঘ ১২ ঘণ্টার ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের শেষে শেষপর্যন্ত গ্রেফতার। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) আরও এক হাইপ্রোফাইল গ্রেফতারি ইডি-র। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে (Sujay Krishna Bhadra) তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। ইডি সূত্রে দাবি, ৩টি কোম্পানির সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণ ওরফে কালীঘাটের কাকুর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ যোগ মিলেছে। জিজ্ঞাসাবাদের মাঝে বারবার তাঁকে তাঁর ফোন বের করে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে প্রশ্ন করা হলেও সেগুলো তিনি এড়িয়ে যাওয়া ও বয়ানে অসঙ্গতির জেরে গ্রেফতার করে বুধবার কোর্টে পেশ করার কথা।
'কালীঘাটের কাকু' নামে যাঁর পরিচিতি তিনি নিজেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সংস্থার কর্মরত এক কর্মী হিসেবে নিজেকে বর্ণণা করেছিলেন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া তাপস মণ্ডলের মুখে প্রথমবার শোনা গিয়েছিল কালীঘাটের কাকু তথা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের নাম। পরে কুন্তল ঘোষের মুখেও শোনা গিয়েছিল তাঁর নাম। চলতি মাসের ২০ মে যখন সিবিআইয়ের ডাকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেদিনও কালীঘাটের কাকু তথা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বেহালার বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। চলেছিল ম্যারাথন তল্লাশি। জিজ্ঞাসাবাদ। চলতি বছরের শুরুতেই অবশ্য কালীঘাটের কাকু দাবি করেছিলেন, তাঁর সাহেবকে কেউ ছুঁতে পারবে না। বড়জোড় তাঁর কাছে এসেই সব থেমে যাবে।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি এবিপি আনন্দকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে কালীঘাটের কাকু তথা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র বলেছিলেন, 'আমার যে সাহেব, পৃথিবীর কারোর ক্ষমতা নেই তাঁকে ছোঁবে। কারণ, তাঁর নাম কেউ করতে পারবে না। তাঁর সঙ্গে কেউ দেখা করতে পারবে না। তাঁর সঙ্গে কেউ ফোনে কথা বলতে পারবে না। তাই যা চেষ্টা হচ্ছে, সেটা আমার পর্যন্ত এসে থেমে যেতে হবে।' যার পরই তাপস মণ্ডল বর্ণিত কালীঘাটের কাকু জুড়েছিলেন, 'আমার সাহেব অভিষেক ব্যানার্জি। ওঁর অফিসে চাকরি করি। ২০০৯ সাল থেকে।' প্রসঙ্গত, যে প্রসঙ্গে কালীঘাটের কাকুকে চেনেন কি না জানতে চাইলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেছিলেন, 'আমি চিনতাম, কিন্তু কীভাবে চিনি, সেটা আপনাদের বলব না।'
প্রসঙ্গত, সুজয়কৃষ্ণের বাড়িতে তল্লাশির পর, ইডি সূত্রে দাবি করা হয়, আয়ের সঙ্গে তাঁর ব্যয়ের সামঞ্জস্য মেলেনি। নিয়োগ দুর্নীতিতে একের পর এক গ্রেফতারি। পরপর জিজ্ঞাসাবাদ। কিন্তু, প্রশ্ন হল মাথার খোঁজ মিলবে কবে ?
আরও পড়ুন: ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর জন্য কী কী খেতে পারেন? রইল তারই তালিকা






















