Recruitment Scam: ১৬ কোটি টাকা লেনদেনের হদিশ, নিয়োগ দুর্নীতিতে চন্দন মণ্ডলকে জেরায় নয়া তথ্য
Chandan Mondal: সিবিআই সূত্রে খবর, জেরায় ১৬ কোটি টাকা লেনদেনের হদিশ। অযোগ্য চাকরি প্রার্থীদের চাকরি বিক্রি করে সেই টাকা তুলেছিলেন চন্দন।
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে চন্দন মণ্ডলকে (Chandan Mondal) জেরা করে উঠে এল নয়া তথ্য। সিবিআই সূত্রে খবর, জেরায় ১৬ কোটি টাকা লেনদেনের হদিশ। অযোগ্য চাকরি প্রার্থীদের চাকরি বিক্রি করে সেই টাকা তুলেছিলেন চন্দন। এফআইআরে নাম থাকা চন্দন প্রথম থেকেই ছিলেন আতসকাচের তলায়। সেই সময়েই চন্দনের লেনদেন খতিয়ে দেখে ৬ কোটির হদিশ পান তদন্তকারীরা। হেফাজতে পেয়ে চন্দনকে জেরা করে এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে আরও ১০ কোটির হদিশ। চাকরি বিক্রি শুধু নয়, চাকরি পেয়েছেন চন্দনের মেয়ে ও ভাইঝি। চন্দন চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন নিকট আত্মীয়দের, খবর সিবিআই সূত্রে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত বাগদার সৎ রঞ্জন ও সুব্রত সামন্তকে আদালতে পেশ করল সিবিআই জামিনের বিরোধিতা করলেও তাঁদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেনি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। গ্রেফতারির পর সিবিআইয়ের দাবি করে, SSC উপদেষ্টা কমিটির ৩ সদস্যের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডলের। সেই সদস্যদের কাছেই নিয়োগ সংক্রান্ত সুপারিশ সরাসরি পৌঁছে দিতেন রঞ্জন ওরফে চন্দন। কার মাধ্যমে এই যোগাযোগ তৈরি হয়েছিল? জানতে বাগদার রঞ্জনকে জেরা করছেন সিবিআই অফিসাররা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দাবি করে, রঞ্জন ওরফে চন্দনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেনের তথ্য মিলেছে। এই টাকা কোথা থেকে এল, তা জানতে চাওয়ার পাশাপাশি, রঞ্জন ওরফে চন্দনের আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও সিবিআইয়ের স্ক্যানারে। গ্রুপ সি ছাড়াও, শিক্ষক বা অন্য কোনও নিয়োগে রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডলের ভূমিকা রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
টাকা দিলে সুলভে মিলবে সরকারি চাকরি, জেলায় জেলায় এভাবেই ফাঁদ পেতেছিলেন বাগদার রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডল। খাতায়-কলমে নয়, গোটাটাই ছিল মুখে মুখে প্রচার। গ্রুপ সি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডলের বিরুদ্ধে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলল সিবিআই। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, মধ্যস্থতাকারী রঞ্জন বিভিন্ন জেলায় সাব এজেন্ট রেখে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করেছিলেন। তাদের মাধ্যমেই চলত টাকা তোলা। গ্রুপ সি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চার্জশিটে নাম থাকা চাকরিপ্রার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে বলে দাবি করেছে সিবিআই। রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডলের সেই সাব এজেন্টরাও এবার সিবিআইয়ের নজরে। এমন ১০ জন এজেন্ট ও সাব এজেন্টকে আজ নিজাম প্যালেসে তলব করেছে সিবিআই।