Recruitment Scam : টেট ফেল করলে এজেন্টদের কাছে তালিকা ! কীভাবে চলত চাকরি বিক্রির র্যাকেট ?
Scam : সিবিআইয়ের দাবি, তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষের মতোই নিয়োগ দুর্নীতিতে ষড়যন্ত্র করেছেন কৌশিক মাঝি।
পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা : OMR শিট কেলেঙ্কারিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফের গ্রেফতার। পার্থ সেনের পর এবার এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির ডিরেক্টর কৌশিক মাজিকে গ্রেফতার করল সিবিআই (CBI)। তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষের মতোই নিয়োগ দুর্নীতির ষড়যন্ত্রে যুক্ত কৌশিক, আদালতে দাবি করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। পাশাপাশি কীভাবে চলেছিল OMR শিট কেলেঙ্কারির (OMR Sheet Scam) মাধ্যমে নিয়োগ দুর্নীতি, সেই চাকরি বিক্রির র্যাকেটের কর্মপদ্ধতি ব্যাখ্যা করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Primary Recruitment Scam) পুজোর মুখে তৎপর CBI। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে OMR শিট প্রস্তুতকারক সংস্থার একে একে ২ জনকে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। OMR শিট প্রস্তুতকারী সংস্থা এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির ডেটা প্রসেসিং প্রোগ্রামার পার্থ সেনের পর এবার CBI-এর জালে সংস্থার ডিরেক্টর কৌশিক মাজি। মঙ্গলবার নিজাম প্যালেসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের পর, তাঁকে গ্রেফতার করেন CBI-এর অফিসাররা। সিবিআইয়ের দাবি, তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষের মতোই নিয়োগ দুর্নীতিতে ষড়যন্ত্র করেছেন কৌশিক ! সম্প্রতি হাওড়ার দাশনগরে এই কৌশিক মাজির বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় CBI।
কীভাবে চলত চাকরি বিক্রির র্যাকেট ? সিবিআই সূত্রে দাবি, টেটে যাঁরা পাস করতেন, তাঁদের নম্বর প্রস্তুত করে পর্ষদের কাছে পাঠাত এই সংস্থা। যাঁরা ফেল করতেন, তাঁদের তালিকা পাঠিয়ে দেওয়া হত বিভিন্ন এজেন্টদের কাছে। আর এরপরই শুরু হত টাকার খেলা। টেটে ফেল করা পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে ফোন করে যোগাযোগ করতেন এজেন্টরা।তাঁদের কাছ থেকে নেওয়া হত মোটা টাকা। যাঁরা টাকা দিতেন, তাঁদের তালিকা চলে আসত OMR ডেটা প্রসেসিং সংস্থার কাছে। সেই তালিকা পাঠিয়ে দেওয়া হত পর্ষদের কাছে।
এদিন আদালতে তোলা হলে, সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষের মতোই এই কৌশিক মাজিও ষড়যন্ত্রে যুক্ত। যদিও, ধৃতের আইনজীবী দাবি করেন, কোম্পানিকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তারা সেই অনুযায়ী কাজ করেছেন। তাদের (এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি) চাকরি দেওয়ার কোনও অধিকার ছিল না। দু'পক্ষের বক্তব্য শুনে ধৃতকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।