(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Sandip Ghosh: সন্দীপ ঘোষের পলিগ্রাফ টেস্ট? আর কোন ৫ জনেরও এই পরীক্ষা? এবার বেরবে 'আসল' তথ্য?
Sandip Ghosh Polygraph Test: সন্দীপ ঘোষ এবং আরও কয়েক জন চিকিৎসক- যাঁদের আগেই বয়ান রেকর্ড করা হয়েছিল। সূত্রের খবর এবার তাঁদের সবার পলিগ্রাফ টেস্ট করার ভাবনা রয়েছে।
প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে সন্দীপ ঘোষের পলিগ্রাফ টেস্টের আবেদন করল সিবিআই। সন্দীপ ঘোষ সহ ৫ জনের পলিগ্রাফ টেস্টের আবেদন শিয়ালদা কোর্টে।
সন্দীপ ঘোষ এবং আরও কয়েক জন চিকিৎসক- যাঁদের আগেই বয়ান রেকর্ড করা হয়েছিল। সূত্রের খবর এবার তাঁদের সবার পলিগ্রাফ টেস্ট করার ভাবনা রয়েছে। সেই কারণেই অনুমতির জন্য শিয়ালদা আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। অত্যন্ত গোপন ভাবে এই কাজ করানো হয়। ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্টরুমের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপরে শিয়ালদা আদালত থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁদের।
এর আগে সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্ট করানোর জন্য আগেই আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু অনুমতি না পাওয়া নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। ওই বিষয়টি নিয়ে আগামীকাল রায়দানের কথা রয়েছে।
এর আগে সন্দীপ ঘোষকে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। দিনের পর দিন সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে লাগাতার ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে সন্দীপ ঘোষকে। এরই মধ্যে ডাক্তারি পড়ুয়াদের দাবি মেনে রাজ্য সরকার সন্দীপ ঘোষকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে অধ্যক্ষ পদে যে নিয়োগ করা হয়েছিল সেই বিজ্ঞপ্তিও।
এখনও পর্যন্ত আরজি করে মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে সঞ্জয় রায়কে। কলকাতা পুলিশই সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছিল। পরে সিবিআইয়ের হাতে মামলা যাওয়ার পরে সঞ্জয়কে তুলে দেওয়া হয় সিবিআইয়ের হাতে। আরজি করের ঘটনায় একাধিক অভিযোহগ রয়েছে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। সিবিআই আর কাউকে গ্রেফতার না করলেও সন্দীপ ঘোষকে টানা জিজ্ঞাসাবাগদ করেছে। বাকিদের বয়ানও নিয়েছে। এবার সমস্যার গভীরে পৌঁছতেই হয়তো পলিগ্রাফ টেস্টের উপর ভরসা করতে চাইছে সিবিআই। আদতে কি মিলল অনুমতি? পলিগ্রাফ টেস্ট হলেই কি রহস্যের জট খোলা শুরু হবে? উঠছে নানা প্রশ্ন।
সরব অভিষেক:
আরজি কর-কাণ্ডে ফের সোশাল মিডিয়ায় সরব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডলে লিখলেন, গত ১০ দিনে দেশজুড়ে ৯০০ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ঠিক সেই সময় আর জি কর মেডিক্যালের ঘটনার প্রতিবাদ করছিল গোটা দেশ। বিচার চাইছিল আর জি কর মেডিক্যালের ভয়ঙ্কর ঘটনার। দুঃখের বিষয়, স্থায়ী সমাধান নিয়ে এখনও বিস্তারিত আলোচনাই হল না। দিনে ৯০টি, ঘণ্টায় চারটি, প্রতি ১৫ মিনিটে একটি করে ধর্ষণ হচ্ছে। নির্দিষ্ট পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি, এটা স্পষ্ট। ৫০ দিনের মধ্যে বিচার ও কঠিন সাজা ঘোষণার মতো কঠোর আইন প্রয়োজন। রাজ্য সরকারের উচিত পদক্ষেপ করা। দ্রুত ধর্ষণ বিরোধী আইন প্রণয়নে কেন্দ্রীয় সরকারকে চাপ দিক রাজ্য সরকার। দেশকে জেগে ওঠার ডাক দিয়ে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: জিম করতে করতেই হার্ট অ্যাটাক! লুটিয়ে পড়ল ১৯ বছরের ডাক্তারি পড়ুয়া! নিমেষে সব শেষ
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।