Sukanta Majumdar: 'তথ্যপ্রমাণ না থাকলে সিবিআই কী করবে ! ' কেন একথা বললেন সুকান্ত ?
RG Kar News: আরজি কর-কাণ্ডে দ্রুত ময়নাতদন্ত করতে চাপ দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠছে।
কলকাতা : আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় তদন্ত করছে সিবিআই। কিন্তু, কত দূর এগোল তদন্ত ? ঘটনার শিকড়ে কি পৌঁছাতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি ? তা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা। কারণ, ঘটনার পর থেকেই বারবার তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ সামনে আসছে। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন তুলে দিলেন সুকান্ত মজুমদার। রাজ্য বিজেপির সভাপতির বক্তব্য, 'তথ্যপ্রমাণ না থাকলে সিবিআই কী করবে ? কিছু করার নেই।'
ঠিক কী বললেন সুকান্ত মজুমদার ?
তিনি বলেন, "তদন্ত তথ্যপ্রমাণের উপর হয়। তথ্যপ্রমাণ না থাকলে সিবিআই হোক বা এফবিআই হোক, কেউ কাউকে গ্রেফতার করতে পারবে না। তথ্যপ্রমাণই এরা রাখেনি। সব তো মিটিয়ে দিয়েছে। সেইজন্য আমরা খুব চিন্তিত। আদৌ আসল অপরাধীরা ধরা পড়বে কি না। তথ্যপ্রমাণ না থাকলে সিবিআই কী করবে ? কিছু করার নেই। যে এলাকায় ক্রাইম হয়েছে, সেখানে যদি এক হাজার জন পা মাড়িয়ে দেয়, জুতোর ছাপ যদি এক হাজার জনের পাওয়া যায়...সেখানে তথ্যপ্রমাণ কিছু থাকে ? কোনও কিছুই তো করেনি। মেয়েটির দেহের চাদরে তিন বারের রং পরিবর্তন হয়েছে। সবুজ, লাল, নীল...এক এক বার এক একজন বলছেন। কী হয়েছে ভগবান জানে !"
এদিকে আরজি কর-কাণ্ডে দ্রুত ময়নাতদন্ত করতে চাপ দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠছে। বিস্ফোরক এই অভিযোগ জানিয়েছেন নিহত নির্যাতিতার ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস। আরজি কর মেডিক্যালের ফরেন্সিক বিভাগের অধ্যাপক অপূর্ব বিশ্বাসের দাবি, 'তাড়াতাড়ি ময়নাতদন্ত করার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল। নিহতের কাকা পরিচয় দিয়ে একজন বলেছিলেন, ওই দিন ময়নাতদন্ত না হলে রক্তগঙ্গা বইবে। এক প্রাক্তন কাউন্সিলর বলেছিলেন, রক্তগঙ্গা বইয়ে দেবেন।' সেই দাবি প্রসঙ্গেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন শুভেন্দু।
এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, 'জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসেছেন। দাবি করেছেন, চিকিৎসকের কাকা পরিচয়ে এক ব্যক্তি হুমকি দেয়, ময়নাতদন্ত দ্রুত না করলে রক্তগঙ্গা বইবে। ওই ব্যক্তি পানিহাটি পুরসভার প্রাক্তন সিপিএম কাউন্সিলর, যিনি পরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন এবং পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষের ঘনিষ্ঠ। সবাই জানে চিকিৎসকের দেহ তাড়াহুড়ো করে সৎকার করা হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শ্মশানে হাজির ছিলেন পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক। এটা আরও আশ্চর্যের যে, সঞ্জীব মুখোপাধ্যায় নিহতের আত্মীয় না হয়েও শ্মশানের নথিতে সই করেছিলেন।' সিবিআই দফতরে নির্মল ঘোষের হাজিরার পরেই এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট শুভেন্দুর।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।