Junior Doctors Protest: 'দুষ্টু গরুর থেকে শূন্য গোয়াল অনেক ভাল', মুখ্যমন্ত্রীর বার্তার পর যে কারণে একথা বললেন অনশনকারী চিকিৎসক
Junior Doctors Hunger Strike : ধর্মতলার অনশন মঞ্চ থেকে অনশনকারী জুনিয়র চিকিৎসক মুখ্যসচিবের ফোনে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নিজেদের ১০ দফা দাবি তুলে ধরছিলেন।
কলকাতা : 'একটা পরিবার থেকে সবাইকে তাড়িয়ে দেবে ? আর তুমি ঠিক করবে কোন অফিসার যাবে, কোন অফিসার না যাবে ?' ঠিক এই ভাষাতেই স্বাস্থ্য সচিবকে অপসারণের দাবি নাকচ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্মতলার অনশন মঞ্চ থেকে অনশনকারী জুনিয়র চিকিৎসক মুখ্যসচিবের ফোনে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নিজেদের ১০ দফা দাবি তুলে ধরছিলেন। সেই সময়ই এই দাবি নাকচ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে এবার চাঁচাছোলা মন্তব্য করলেন সদ্য সুস্থ হয়ে NRS হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়া অপর এক অনশনকারী চিকিৎসক পুলস্ত্য আচার্য।
তিনি বললেন, "যেটুকু দেখলাম, উনি বলেছেন সবাইকে কি সরিয়ে দেওয়া যায় পরিবার থেকে ? একটি পরিবার থেকে কাউকে সরানো যায় না...ঠিক। স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে যদি ধরি নিই, একটি গোটা স্বাস্থ্য পরিবারের অভিভাবক। তিনি শীর্ষ অভিভাবক। তাহলে, বাকিরা যদি তাঁর সন্তানসময় হন...আমরা যদি তাঁর সন্তানসম হই, বাকিরাও যদি তাঁর আত্মীয়সময় হন, তাহলে আমি এটুকু বলে রাখতে পারি...বাংলায় একটি কথা আছে, দুষ্টু গরুর থেকে শূন্য গোয়াল অনেক ভাল। যে প্রিন্সিপ্যাল হেল্থ সেক্রেটারি এতখানি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত...তার প্রমাণ বারেবারে আমাদের স্বাস্থ্য দফতর, স্বাস্থ্য শিক্ষা-ব্যবস্থা বারবার পেয়েছে। আজ মুখ্যমন্ত্রী যেমন আমাদের খুব সদর্থক কথা বলেছেন, ডাক্তারি পরীক্ষাতেই তিনি দেখবেন যেন কেউ ঘাড় ঘোরাতে না পারেন। আজ এই জায়গাটা আসছে কেন ? কারণ, ডাক্তারি পরীক্ষাতে বিগত কয়েক বছরে ঘাড় ঘোরানো নয়, প্রশ্নপত্রও পেয়ে গিয়েছিল। মুষ্টিমেয় কয়েকজন প্রশ্নপত্র পেয়ে গিয়েছেন, তাঁরা প্রশ্নপত্র পেয়ে গিয়েছেন। অনার্স পেয়েছেন...গোল্ড মেডেল পেয়েছেন। তাঁরাই ডাক্তার হয়েছেন। তাঁরাই থ্রেট কালচার পেয়েছেন। তাঁরাই ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ফলে, সবটাই একইরকম একই জায়গা। আমি বলব, তিনি যদি অভিভাবক হন , পরিবারের কোনও সন্তান যদি কূপুত্র হন তাঁকে যদি ত্যজ্য পুত্র করা হয়, ঠিক একইভাবে এই প্রিন্সিপ্যাল হেল্থ সেক্রেটারি তিনি যদি আত্মীয় হন, তাহলে তাঁকে যেন সমূলে পরিত্যাগ করেন।"
ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনের (Junior Doctors Hunger Strike) ৮দিনে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনশনকারী জুনিয়র চিকিৎসক পুলস্ত্য আচার্য। এনআরএস হাসপাতালের পিজিটি পুলস্ত্য আচার্যকে নিয়ে যাওয়া হল তাঁরই হাসপাতালে।
প্রথম যে ক'জন জুনিয়র চিকিৎসক অনশনে বসেছিলেন তার মধ্যে অন্যতম পুলস্ত্য আচার্য। অ্যানাস্থেসিয়া বিভাগের প্রথম বর্ষের পিজিটি পুলস্ত্য আচার্য। এনআরএসের অধ্যক্ষ তরফে জানা যায়, ইউরিনে কিটোনের মাত্রা বেড়ে গিয়ে বমি বমি ভাবছিল পুলস্ত্য আচার্যের। একইসঙ্গে পেট ব্যথা, মাথা ঘুরতে থাকে তাঁর। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গ্রিন করিডর করে নিয়ে যাওয়া হয় NRS মেডিক্যাল কলেজে। এনআরএসের নেফ্রোলজি, কার্ডিওলজি, মেডিসিন, চেস্ট মেডিসিন, অ্যানাস্থেসিয়ার চিকিৎসকদের নিয়ে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়।