RG Kar Protests: আর জি কর মেডিক্যালের প্রাক্তনীদের প্রতীকী অনশনে বসতে বাধা কেন্দ্রীয় বাহিনীর
Central Forces: নিরাপত্তার কারণে হাসপাতাল চত্বরে অনশনে বসা যাবে না বলে জানিয়েছে CISF, দাবি প্রাক্তনীদের।
কলকাতা: আর জি কর মেডিক্যালের প্রাক্তনীদের প্রতীকী অনশনে বসতে বাধা কেন্দ্রীয় বাহিনীর। নিরাপত্তার কারণে হাসপাতাল চত্বরে অনশনে বসা যাবে না বলে জানিয়েছে CISF, দাবি প্রাক্তনীদের। হাসপাতালের মধ্যে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের বিচার চেয়ে আজ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত, ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনের ডাক দেন আর জি কর মেডিক্যালের প্রাক্তনীরা। (RG Kar Protests)
আট দিন ধরে একটানা অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। ধর্মতলার অনুশন মঞ্চে পর পরে তিন জন অসুস্থও হয়ে পড়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে তাঁদের। সেই আবহেই রবিবার আর জি কর হাসপাতাল চত্বরে অনশনে প্রতীকী অনশনে বসার সিদ্ধান্ত নেন হাসপাতালের প্রাক্তনীরা। কিন্তু সেখানে CISF তাঁদের বাধা দেয় বলে অভিযোগ। (Central Forces)
আজ সকাল ৮টা থেকে আর জি কর হাসপাতালে ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনে বসার কথা ছিল প্রাক্তনী। ঠিক হয়েছিল, প্রথমে ১৪ জন অনশনে বসবেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সংখ্যাটা বাড়তে থাকে। ১৪ থেকে ১৬ জন ২৪ ঘণ্টা অনশনে বসবেন বলেও জানা যায়। প্রথমে আর জি কর হাসপাতালের অনশন মঞ্চে কর্মসূচি করার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে পৌঁছলে বাধাপ্রাপ্ত হতে হয় CISF-এর কাছে।
এর পর, আর জি করের প্রাক্তনীরা হাসপাতালের অনশন মঞ্চ থেকে সরে এসে, প্ল্যাটিনাম জুবিলি বিল্ডিংয়ের সামনে সরে আসেন। সেখানেই প্রতীকী অনশনে বসার সিদ্ধান্ত হয়। সেই মতো বসেও পড়েন অনেকে। কিন্তু সেখানে এসে উপস্থিত হয় CISF. প্রাক্তনীদের সঙ্গে কথা বলেন CISF-এর জওয়ারা। দুই পক্ষের মধ্যে বাদানুবাদও হয়। অনশনে বসা যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয় CISF-এর তরফে।
আর জি করের প্রাক্তনীদের CISF জানায়, নিরাপত্তা জনিত কারণে হাসপাতাল চত্বরে কর্মসূচি করা যাবে না। এর পাল্টা প্রাক্তনীরা জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবে অনশন করবেন তাঁরা। কোনও রকম চিৎকার, স্লোগান উঠবে না। এর পর কলকাতা পুলিশের বেশ কয়েক জন আধিকারিকও এসে পৌঁছন ঘটনাস্থলে। সেখানে অনশনে বসা যাবে না বলে জানা যায়।
যদিও এখনও পর্যন্ত হাসপাতাল চত্বরে বসে রয়েছেন প্রাক্তনীরা। তাঁদের বক্তব্য, যে যা বলে বলুক, তাঁরা সেখানেই অনশনে বসবেন। অনেকেই সেখানে বসে রয়েছেন। ধর্মতলায় এখনও আমরণ অনশন কর্মসূচি চলছে যেখানে, আর জি করের প্রাক্তনীরা হাসপাতাল চত্বরে প্রতীকী অনশনে বসতে পারেন কি না, তা-ই এখন দেখার।