Rice Price Hike: মিনিকেট থেকে গোবিন্দভোগ, এবার চালের দামেও আগুন
Rice Price Hike: পাত থেকে কি এবার ভাতও বাদ দিতে হবে? সবজির বাজার তো অগ্নিমূল্যই, এবার চালের দামেও আগুন। বিক্রেতাদের দাবি, প্রায় সব ধরনের চালের দামই গত এক মাসে অনেকটা বেড়েছে।
সঞ্চয়ন মিত্র ও কমলকৃষ্ণ দে: নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের পাশাপাশি, বেশিরভাগ চালের (Rice) দামেও আগুন। মিনিকেট থেকে গোবিন্দভোগ - বিভিন্ন চালের দাম গত একমাসে অনেকটা বেড়েছে (Price Hike)। মাথায় হাত ক্রেতাদের। আগামী দু’তিন মাসে দাম কমবে, ভরসা দিতে পারছেন না বিক্রেতারাও।
পাত থেকে কি এবার ভাতও বাদ দিতে হবে? সবজির বাজার তো অগ্নিমূল্যই, এবার চালের দামেও আগুন। বিক্রেতাদের দাবি, প্রায় সব ধরনের চালের দামই গত এক মাসে অনেকটা বেড়েছে। চালের খুচরো বাজারের দরে দেখা যাচ্ছে, মিনিকেট চালের একমাস আগে দাম ছিল ৩৪-৩৫ টাকা কেজি। এখন ৪৫ টাকা কেজি। বাঁশকাঠি চালের দাম ছিল ৪২-৪৫ টাকা কেজি। এখন ৫০ টাকা কেজি। দুধের সর চাল ৪২-৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল। এখন তার দাম কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৫২ টাকা। বাসমতি চালের দাম ছিল ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা কেজি। এখন ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা। ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছিল গোবিন্দভোগ। এখন ৯০ থেকে ১০০ টাক।
চালের দাম এতটা বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতাদেরও মাথায় হাত। ভিন রাজ্য ও বাংলাদেশে রফতানি এবং মিনিকেট চালের চাহিদা অনেকটা বেড়ে যাওয়ার কারণেই এই দাম বৃদ্ধি বলে মত বিক্রেতাদের। মিনিকেট চালের চাহিদা বাড়ায় দাম বেড়েছে বলে দাবি মিল মালিকদেরও।
পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাইস মিলের মালিক অভীক হুই বলেন, এখন মিনিকিট চালের দাম বেড়েছে। কারণ বাংলাদশে রফতানি হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য চাল অন্ধ্রপ্রদেশে রফতানি হয়েছে। চালের চাহিদা অনেকটা বেড়েছে। তার ফলেই দাম বেড়েছে। ওই জেলারই ধান চাষি বিপ্লব রায়ের কথায়, আমরা যখন ধান বিক্রি করেছিলাম ৬০ কেজির বস্তা ৯০০ থেকে হাজার টাকা বিক্রি করেছিলাম। এখন ১৫০০ থেকে সাড়ে ১৫০০ টাকা বস্তা চলছে। চালের দাম যে আগামী দু’তিন মাসে কমবে, এই ভরসা কেউই দিতে পারছেন না।
আরও পড়ুন: Tourist Spot: পাহাড় থেকে ঘরমুখী পর্যটকরা, করোনা আবহে ফাঁকা গড়পঞ্চকোট, বিষ্ণুপুরও