(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Saigal Hossain: অনুব্রতর রক্ষী সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে পারবে ইডি, জানাল আদালত
Saigal Hossain Update: আরও অস্বস্তি বাড়ল অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের। অবশেষে গরুপাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার অনুমতি পেল ইডি।
কলকাতা: অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গলকে (Saigal Hossain) এবার দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে পারবে ইডি (ED)। ইডির আবেদনে সাড়া দিয়ে জানিয়ে দিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট (Rouse Avenue Court)। সাধারণ পুলিশকর্মী হয়েও কী করে বিপুল সম্পত্তির মালিক সায়গল হোসেন? জানতে চায় ইডি।
এবার দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে পারবে ইডি: আরও অস্বস্তি বাড়ল অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের। অবশেষে গরুপাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার অনুমতি পেল ইডি। গরুপাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) CBI’এর হাতে গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে আসানসোল জেলে (Asansol) রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। ৭অক্টোবর টানা জেরার পর জেলবন্দি অবস্থায় তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি (ED)। সায়গলকে ট্রানজিট রিমান্ডে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন খারিজ করে দেয় আসানসোল আদালতে। হাইকোর্টও খারিজ হয়ে যায় সেই আবেদন।এরপর দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে আবেদন করে ED। এদিন কেন্দ্রীয় এজেন্সির সেই আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারক রঘুবীর সিংহ।
সূত্রের খবর, আদালতে ED দাবি করে, গরুপাচার মামলার তদন্তে ছত্রে ছত্রে সায়গল হোসেনের নাম উঠে এসেছে। সায়গলের হাত দিয়েই গরুপাচারের কোটি কোটি টাকা বিভিন্ন জায়গায় যেত। মুর্শিদাবাদ, বীরভূম থেকে কলকাতা-সায়গলের একের পর সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। আসনসোল আদালতে জেরায় সহযোগিতা করছেন না সায়গল। বেশ কয়েকটি প্রশ্নে নীরব থাকছিলেন সায়গল। বারবার আসনসোল গিয়ে জেরা সম্ভব না হওয়ায় তাঁকে হেফাজতে নিতে হবে। ED’র আবেদনের আগাগোড়া বিরোধিতা করেন সায়গলের আইনজীবী। সাধারণ পুলিশকর্মী হয়েও কী করে বিপুল সম্পত্তির মালিক সায়গল হোসেন? এই বিপুল সম্পত্তির উৎস কী? এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি। ED সূত্রে খবর, দু-’এক দিনের মধ্যে আসানসোল জেলে গিয়ে সায়গল ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে। সূত্রের খবর, রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন সায়গলের আইনজীবী ।
এদিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি-র নজরে প্রায় ৩৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। পাশাপাশি, স্ক্যানারে রয়েছে মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের চারটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও। ইডি সূত্রে দাবি, এই চারটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে ৬টি বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ চালাতেন তাপস। ইডি সূত্রে দাবি, বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য খতিয়ে দেখার সময় উঠে আসে তাপস মণ্ডলের নাম। দেখা যায়, তাপসের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ট্রান্সফার হয়েছে তাপসের আত্মীয়দের অ্যাকাউন্টে। এমনই ৩৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এখন ইডি-র নজরে। এর পাশাপাশি, তদন্তকারীদের হাতে এসেছে ৮টি মোবাইল ফোন। তাপসের বাড়ি ও একাধিক অফিসে তল্লাশি চালিয়ে এগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।মোবাইল ফোনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলবে বলে অনুমান ইডি-র তদন্তকারীদের।
আরও পড়ুন: Job Seekers Agitation: 'উই শ্যাল ওভারকাম', স্লোগানে স্লোগানে বিক্ষোভ চাকরিপ্রার্থীদের