South 24 Parganas: নদীপাড়ের গর্ত যেন মরণফাঁদ! ভাঙনের কবলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা
River Erosion: পাড় ভাঙতে ভাঙতে ক্রমশই এগিয়ে আসছে হুগলি নদী। প্রতিদিন নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে একের পর এক এলাকা। এমনকী যে কোনও মুহূর্তে তলিয়ে যেতে পারে নদীপাড় সংলগ্ন ২৪ পরগনার ব্যস্ততম রায়পুর বাজার।
জয়ন্ত রায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: হুগলি নদীর (Hooghly River) ভাঙনের (River Erosion) কবলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) সাতগাছিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। দ্রুত ব্যবস্থা নিক প্রশাসন, আবেদন নদীপাড়ের বাসিন্দাদের। ভাঙন রোধ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক দায় ঠেলাঠেলি।
হুগলি নদীর ভাঙনের কবলে বিস্তীর্ণ এলাকা: নদীপাড়ের গর্ত যেন মরণফাঁদ! পাড় ভাঙতে ভাঙতে ক্রমশই এগিয়ে আসছে হুগলি নদী। প্রতিদিন নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে একের পর এক এলাকা। এমনকী যে কোনও মুহূর্তে তলিয়ে যেতে পারে নদীপাড় সংলগ্ন ২৪ পরগনার ব্যস্ততম রায়পুর বাজার। সব হারানোর আশঙ্কায় ভুগছেন ব্যবসায়ীরা। রায়পুর বাজার এলাকার এক ব্যবসায়ী বলেন, “এখানে ৪০০ দোকান আছে। ভরা কটাল এলে দোকানের ক্ষতি হয়। যেকোনওদিন গোটা বাজার ভেসে যেতে পারে।’’
শুধু ব্যবসায়ীরাই নন, ঘরবাড়ি হারানোর দুশ্চিন্তার প্রহর গুনছেন সাতগাছিয়া বিধানসভার নদী তীরবর্তী গ্রামের বাসিন্দারা। দক্ষিণ রায়পুরের এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা ভয়ঙ্কর অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছি। সরকারের কাছে অনুরোধ, ভাঙন রোধে কোনও স্থায়ী সমাধান করা হোক।’’ কবে হবে স্থায়ী সমাধান? ভাঙন রোধে কবে নেওয়া হবে ব্যবস্থা? বজবজ ২ নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি বুচান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ভাঙন আটকানোর ব্যাপারে সমস্ত স্তরে জানানো হয়েছে। সেচ দফতরকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সমাধান হবে।’’ ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সহ সভাপতি সুফল ঘাটু বলেন, “কাটমানির জন্যই কোনও উন্নয়ন হয়নি। মানুষ সব দেখছে, পঞ্চায়েত ভোটে এদের বিদায় অবশ্যম্ভাবী।’’ রাজনৈতিক তরজা নয়, নদী-ভাঙন রুখতে দ্রুত তৎপর হোক প্রশাসন, বুকে সব হারানোর ভয় নিয়ে এখন একটাই প্রার্থনা নদীপাড়ের বাসিন্দাদের।
সামশেরগঞ্জে ভাঙন আতঙ্ক: সামশেরগঞ্জে অব্যাহত রয়েছে গঙ্গায় ভাঙন। নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে তিন তিনটি বাড়ি। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তিল তিল করে গড়ে তুলেছিলেন। চোখের সামনে গঙ্গা গিলে খাচ্ছে সেই বসতবাড়ি। গঙ্গার ভাঙনে চোখে মুখে একরাশ আতঙ্ক নিয়ে অস্তিত্ব বাঁচানোর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন সামশেরগঞ্জের মহেশটোলার বাসিন্দারা। কয়েকদিনের ভাঙনে গঙ্গায় তলিয়ে গেছে তিন তিনটি বাড়ি। সময়ের যত গড়াচ্ছে আরও ভাঙছে পাড়। এভাবেই আস্ত একটা গ্রাম যেন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে। পরিবার পরিজন নিয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে কোথায় যাবেন কী করবেন? কুল কিনারা না পেয়ে গ্রাম ছাড়ছেন অনেকে। এই পরিস্থিতিতে সামসেরগঞ্জে ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের দাবিতে দিনকয়েক আগে বিডিও অফিসে ডেপুটেশন দেয় কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: Dengue Death : আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আরও ৩ ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু