East Midnapore School: প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে শিক্ষকদের ঝামেলার জের, ছাত্রশূন্য হওয়ার মুখে স্কুল
East Midnapore News: ১৯৭৩ সালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক শহরের ৮নম্বর ওয়ার্ডে স্থাপিত হয়েছিল তাম্রলিপ্ত হরিজন প্রাইমারি স্কুল।

বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপর: স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে অন্য দুই সহ-শিক্ষকের মধ্যে ঝামেলার জের, ছাত্র শূন্য হতে বসেছে তমলুকের প্রাথমিক বিদ্যালয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক বসল জেলা বিদ্যালয় প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের। কড়া পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি হাবিবুর রহমান।
ছাত্র শূন্য হতে বসেছে তমলুকের প্রাথমিক বিদ্যালয়: ১৯৭৩ সালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে স্থাপিত হয়েছিল তাম্রলিপ্ত হরিজন প্রাইমারি স্কুল। মোট ৩৭জন পড়ুয়া চলছিল বিদ্য়ালয়। স্কুলে তিনজন শিক্ষক শিক্ষিকা ছিলেন। টিআইসি আরতি দাস অবসর নেওয়ার পর গত আগস্ট মাসে বর্ণালী মহেশ যোগ দেন। ঠেকুয়াবাজার চক্র থেকে বদলি হয়ে ওই স্কুলে আসেন তিনি। অভিযোগ বর্ণালী মহেশ যোগ দেওয়ার পর থেকেই স্কুলে ঝামেলার সূত্রপাত। ওই স্কুলে ২০১২ সাল থেকে প্রিয়াঙ্কা অধিকারী এবং ২০১৪ সাল থেকে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় সহ-শিক্ষক হিসেবে আছেন। অভিযোগ তাঁদের সঙ্গে সংঘাত শুরু হয় বর্ণালী মহেশ। আর সেই ঝামেলার জেরে পঠনপাঠন প্রায় বন্ধ হতে বসেছে। একে একে ৩১ জন পড়ুয়া টিসি নিয়ে চলে গেছে অন্য স্কুলে। স্কুলের বেঞ্চ থেকে অন্যান্য আসবাবপত্র কালো পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। এমনকি প্রধান শিক্ষিকার ব্যাবহার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকদের একাংশও। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। এবিষয়ে বর্ণালী মহেশ বলেন, "ছাত্রছাত্রীদের, অভিভাবকদের মধ্যে কাউন্সেলিং দরকার আছে। ছাত্রদের ফেরানোর চেষ্টা করছে। আমাকে একজন অভিভাবক বলেছেন স্যর, ম্যাডাম থাকলে গল্প করেন।"
মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ অফিসে সংসদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে, ডি আই প্রাথমিক চন্দ্রশেখর জাউলিয়া, এসআই উত্তম বৈদ্য,এ আই লক্ষীকান্ত দাস মাইতি, স্থানীয় কাউন্সিলর সৌমেন চক্রবর্তী এবং স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সহ সহকারি এক শিক্ষক ও শিক্ষিকার নিয়ে বৈঠক হয়। সেই বৈঠক শেষে জেলা বিদ্যালয় সংসদ সভাপতি, পরিষ্কার জানিয়ে দেন এভাবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ঝামেলার জেরে বিদ্যালয়ের অচলাবস্থা বরদাস্ত করা হবে না। প্রয়োজনে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অন্যত্র বদলি করে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা হবে।
আরও পড়ুন: Purulia Tiger Fear: ছাগলের টোপ দিয়ে পাতা লোহার খাঁচা, বাঘের আতঙ্কে ঘুম উড়েছে পুরুলিয়াবাসীর






















