Shamik Bhattacharya: নিশীথ প্রামাণিকের দাড়ি-গোঁফ উপড়ে ফেলার ফরমান উদয়ন গুহর, পাল্টা কটাক্ষ শমীকের
Udayan Guha: কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক ভোটে জেতার পর আর এলাকায় আসেননি। তাই তাঁর দাড়ি গোঁফ উপড়ে ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে। এমনটাই জানান উদয়ন গুহ।
কলকাতা: সামনেই রয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিল মাসে হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে বিভিন্ন কারণে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। ফের একবার চর্চায় উদয়ন গুহ। কিছুদিন আগেই তিনি বলেছিলেন যে, বিরোধীদের দাঁত উপড়ে নেওয়া উচিৎ। আর আজ ফের আলোচনা হচ্ছে তাঁর মন্তব্যকে কেন্দ্র করে। এবার তিনি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের দাড়ি, গোঁফ উপড়ে ফেলার কথা বললেন। আর তাঁর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিলেন শমীক ভট্টাচার্য।
নিশীথ প্রামাণিককে নিয়ে কী বললেন উদয়ন গুহ?
কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক ভোটে জেতার পর আর এলাকায় আসেননি। তাই তাঁর দাড়ি গোঁফ উপড়ে ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে। এমনটাই জানান উদয়ন গুহ। দিনহাটার সভা থেকে এভাবেই হুঙ্কার দিলেন তিনি। উদয়ন গুহ আরও বলেন, 'কেউ অশান্তি করতে এলেই ফোন করে জানাবেন। পঞ্চায়েত ভোটের আগে সেই ব্যক্তি যাতে জেল থেকে ছাড়া না পায়, সেই ব্যবস্থাই করব।' হুঙ্কার উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহর।
আগামী বছর ফেব্রুয়ারি (February) বা এপ্রিলে হতে পারে পঞ্চায়েত ভোট তবে এখন থেকেই চড়তে শুরু করেছে হুমকি-হুঁশিয়ারির পারদ। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সামনে এসেছিল হিংসার ছবি। সেই ভোট হয়েছিল রাজ্য পুলিশ দিয়ে। এবারের পঞ্চায়েত ভোটও, রাজ্য পুলিশ দিয়েই হতে চলেছে বলে, রাজ্য প্রশাসন ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর। যা শুনে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছে, ২০২৩’এও তাহলে ২০১৮’র পুনরাবৃত্তি হবে না তো? এই প্রেক্ষাপটেই পঞ্চায়েত প্রসঙ্গে, সরাসরি হুমকির সুর শোনা গেল, দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহর গলায়। কিছুদিন আগেই উদয়ন গুহ (Udayan Guha) এবং তৃণমূলের (TMC) প্রাক্তন জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের মুখে শোনা গিয়েছিল দাঁত উপড়ে নেওয়ার হুমকি। শাসকদলকে পাল্টা আক্রমণ করেছে বিরোধীরা।
উদয়ন গুহর হুঙ্কার প্রসঙ্গে কী বলছেন শমীর ভট্টাচার্য?
উদয়ন গুহর বক্তব্য প্রসঙ্গে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'বিষয়টা হচ্ছে, উনি (উদয়ন গুহ) আগে অন্য রাজনৈতিক দল করতেন। সেখানে তিনি সাফল্য পেয়েছিলেন। নির্বাচনে জয়ীও হয়েছিলেন। তারপরই তৃণমূলের লোকজন বলল, ওর মাথা কামিয়ে দেবে। কোমরে দড়ি দিয়ে রাস্তায় ঘোরাবে। মামলার ভয়ে উনি আত্মসমর্পন করলেন। সেই থেকে তিনি তৃণমূলের চলার পথের ভাষা ব্যবহার করছেন। কয়েকটা মাস অপেক্ষা করুন। ওদের দাড়ি গোঁফ কামিয়ে ছদ্মবেশে অন্য জায়গায় ঘুরতে হবে। আর নাহলে দেখবেন দিল্লির রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে। এই তো তৃণমূলের অবস্থা। প্রদীপ জ্বলার আগে জ্বলে ওঠে। এ তারই লক্ষণ।'