Sitalkuchi Shootout: 'কেন্দ্রের তরফে আর্থিক সাহায্য মেলেনি,' অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ শীতলকুচির গুলিকাণ্ডে নিহতদের পরিবার
অভিযোগ, রাজ্য সরকার আর্থিক সাহায্য দিয়েছে। কিন্তু কোনও সাহায্য করেনি কেন্দ্রীয় সরকার (Central Ministry)। যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা গুলি চালিয়েছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
রাজা চট্টোপাধ্যায়, শুভেন্দু ভট্টাচার্য, জলপাইগুড়ি: এবার কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata Highcourt) জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) সার্কিট বেঞ্চের দ্বারস্থ হচ্ছেন, শীতলকুচির (Sitalkuchi) গুলিকাণ্ডে নিহতদের পরিবার। কেন্দ্রের তরফে আর্থিক সাহায্য না মেলায় ও অভিযুক্ত জওয়ানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা।
রাজ্য সরকার (West Bengal Government) আর্থিক সাহায্য দিয়েছে। কিন্তু কোনও সাহায্য করেনি কেন্দ্রীয় সরকার (Central Ministry)। যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা গুলি চালিয়েছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই অভিযোগে এবার আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে, কোচবিহারের (Coochbehar) শীতলকুচিতে (Sitalkuchi) কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃতদের পরিবার।
গত ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফার ভোট (4th Phase Vote) চলার মধ্যেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে শীতলকুচির (Sitalkuchi) জোড়পাটকির ১২৬ নম্বর বুথ। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়, ২০ বছরের সামিউল মিঞা, ১৮ বছরের খেতমজুর নুর আলম মিঞা, কাঠমিস্ত্রী ২৮ বছরের মণিরুজ্জামান মিঞা এবং রাজমিস্ত্রি হামিদুল মিঞার (২৮)।
নিহতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে সাহায্য করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার। পরিবারের একজনকে হোমগার্ডে চাকরিও দেওয়া হয়। কিন্তু অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার চারটে শরীর ঝাঁঝরা হয়ে গেলেও, মোদি সরকারের তরফে এখনও কোনও সাহায্য মেলেনি। কেন্দ্রের তরফে আর্থিক সাহায্যে এবং অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে, কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ির সার্কিট বেঞ্চের দ্বারস্থ হচ্ছে নিহতদের পরিবার।
শীতলকুচিতে নিহত মনিরুজ্জামানের আত্মীয় আলিজার রহমানের কথায়, রাজ্য সরকার ৪ পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করেছেন। একজন করে হোমগার্ডের চাকরিও দিয়েছে। কিন্তু যাদের গুলিতে মারা গেল, সেই কেন্দ্রীয় সরকার এখনও কোনও ক্ষতিপূরণ দেয়নি। আমরা চাই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক, এবং দোষীদের শাস্তি। সিআইডি তদন্তের উপর ভরসা আছে, সিআইডি তদন্ত চলুক।
স্বাভাবিকভাবেই শীতলকুচির নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে, বিজেপিকে নিশানা করতে ছাড়েনি তৃণমূল।
পার্থপ্রতিম রায়, কোচবিহারের তৃণমূল কংগ্রেসে কোর কমিটির সদস্য জানিয়েছেন, দুর্ভাগ্যজনক যে কতটা অমানবিক হলে এই ধরনের ঘটনা ঘটে। কেন্দ্রীয় সরকার মিনিমান দায়িত্ববোধ থেকে এদের পাশে দাঁড়ানো উচিত ছিল। মানবিকতা নেই।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী অশান্তির গুরুতর অভিযোগগুলি নিয়ে তদন্ত করছে CBI। যার মধ্যে রয়েছে শীতলকুচির ঘটনাও। এবার কেন্দ্রের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্যের দাবিতে, কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে দ্বারস্থ হল নিহতের পরিবার।