(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Goutam Deb: অযোধ্যায় প্রাণপ্রতিষ্ঠার দিনই হারমোনিয়াম নিয়ে গৌতম দেবের গলায় 'রঘুপতি রাঘব রাজা রাম…'
Goutam Deb Sings Raghupati Raghaba Raja Ram : গৌতম দেবের মুখে রাম-নাম শোনা গেল আজ। রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন তৃণমূলের দাপুটে নেতার মুখে কেন রাম-নাম?
অযোধ্যা: অযোধ্যায় ( Ayodhya ) রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করলেন নরেন্দ্র মোদি ( Narendra Modi )। আর, এদিনই কলকাতা থেকে জেলায় জেলায়, তৃণমূলের তরফে দেওয়া হল সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা। আর তা করতে গিয়ে তৃণমূল নেতার মুখে রাম-নাম । তাও শোনা গেল। গৌতম দেবের মুখে রাম-নাম শোনা গেল এদিন।
তৃণমূলের দাপুটে নেতার মুখে কেন রাম-নাম?
রঘুপতি রাঘব রাজারাম গেয়ে দিন শুরু করলেন শিলিগুড়ির মেয়র। হারমোনিয়াম সঙ্গতে গাইলেন, 'রঘুপতি রাঘব রাজা রাম…'। রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন তৃণমূলের দাপুটে নেতার মুখে কেন রাম-নাম? তিনি বললেন, ' এটা জাতির জনকের অত্যন্ত প্রিয় ভজন। এটা সবাই করে এবং এই গানের মধ্যে সীতা মা এবং রামচন্দ্রকে নিয়ে করা হয়েছে এবং এটাতে সর্বধর্ম সমন্বয়ের কথা বলা হয়েছে। ঈশ্বর ও আল্লার একাত্মতার কথা বলা হয়েছে।'
তৃণমূলের সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা
অন্যদিকে অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন কোচবিহারে তৃণমূল সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দেয়। কোচবিহারের কুমার গজেন্দ্রনারায়ণ ঠাকুর বাড়ির শিব মন্দিরে পুজো দেন রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র ও প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়। পাশাপাশি, কোচবিহারের শহরের নতুন মসজিদ ও নীল কুঠির গির্জায় প্রার্থনা করেন তৃণমূল নেতা। সব ধর্মই আমাদের কাছে সমান, সেই বার্তা দিতেই এই কর্মসূচি বলে জানান পার্থপ্রতিম রায়।
আরও পড়ুন :
রামভূমি অযোধ্যার দর্শন করুন এবিপি মেটাভার্সে। ক্লিক করুন।
কলকাতায় সংহতি যাত্রা
রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিনই কলকাতায় সংহতি যাত্রার আয়োজন করে তৃণমূল কংগ্রেস। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যআয়। মিছিল শুরুর আগে কালীঘাট মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন মুখ্যমন্ত্রী। রবিবারই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ' ঘৃণা, হিংসা ও নিরীহ মানুষের মৃতদেহের ওপর তৈরি মন্দির, মসজিদ, চার্চ, গুরুদ্বারকে গ্রহণ করার শিক্ষা, আমার ধর্ম আমাকে দেয়নি। '
দুর্গা প্রতিমা নিয়ে শোভাযাত্রা শুভেন্দুর
এদিনই অযোধ্যায় রাম মন্দিরে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার আগে কলকাতায় মিছিল করেন শুভেন্দু অধিকারী। রামচন্দ্রের সঙ্গে বাংলার
যোগ বোঝাতে মিছিলের মূলভাবনা ছিল অকালবোধন। ধূপ-ধুনো জ্বালিয়ে, ঢাক বাজিয়ে দুর্গা প্রতিমা নিয়ে শোভাযাত্রা করে গেরুয়া শিবির। পোস্তার বৈকুণ্ঠপুর মন্দির থেকে শুরু হয়ে মিছিল শেষ হয় চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের রাম মন্দির পর্যন্ত।