South 24 Pargana: ওমিক্রন বাড়তেই সোনারপুর, রাজপুরে কড়া প্রশাসন, মাস্ক না পরলেই গ্রেফতার
South 24 Pargana: রাজপুর (rajpur) বাজার এলাকায় শুক্রবার দুপুরে বাজার ও গণ পরিবহনে নজরদারি চালাল স্থানীয় পুলিশ। যাত্রী থেকে চালক ও বাজারে আসা ক্রেতারা মাস্ক ব্যবহার না করলেই গ্রেফতার করা হচ্ছে।
রঞ্জিত হালদার, সোনারপুর: ওমিক্রন বাড়তেই কড়া পদক্ষেপ প্রশাসনের। মাস্ক ব্যবহার না করায় গ্রেফতারের (arrest) পথে হাঁটল প্রশাসন। ৩০ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোনারপুরে (sonarpur) রাজপুর (rajpur) বাজার এলাকায় শুক্রবার দুপুরে বাজার ও গণ পরিবহনে নজরদারি চালাল স্থানীয় পুলিশ। যাত্রী থেকে আরম্ভ করে চালক ও বাজারে আসা ক্রেতারা মাস্ক ব্যবহার না করায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর সোনারপুর থানার পুলিশ সুত্রে। রাস্তায় রাস্তায় মাইক নিয়েও প্রচার চালানো হচ্ছে ওমিক্রন ও করোনা সতর্কতায়।
এদিকে, পূর্ব বর্ধমানে (East Burdwan) করোনা পরিস্থিতি (Corona) মোকাবিলায় ৩ মাসের মধ্যে ৩টি ১০০ বেডের কোভিড হাসপাতালের পরিকাঠামো গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনাতে (North 24 Parganas) মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের আধিকারিকদের।
দেশে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ (India Corona Graph) ফের ঊর্ধ্বমুখী। এরই মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে কোভিডের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের (Omicron Variant) সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে একাধিক পদক্ষেপ নিল পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন (East Burdwan District Administration)। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দাবি, পূর্ব বর্ধমানে তিন মাসের মধ্যে তৈরি হবে ১০০ বেডের তিনটি কোভিড হাসপাতাল। কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে (Katwa Subdivision Hospital) ২৪ বেডের হাইব্রিড CCU তৈরি করা হবে। এছাড়াও জেলার ৭টি ব্লকে আলাদা করে ২০ বেডের কোভিড চিকিত্সার পরিকাঠামো গড়ছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
জেলায় করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা আচমকা বেড়ে গেলে যাতে উপযুক্ত চিকিত্সা পরিকাঠামো থাকে তার জন্য একাধিক ব্যবস্থা নিল পূর্ব বর্ধমানের জেলা স্বাস্থ্য দফতর। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, মেমারি গ্রামীণ হাসপাতাল, পূর্বস্থলীর শ্রীরামপুর গ্রামীণ হাসপাতাল ও কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ১০০ বেডের কোভিড হাসপাতালের পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। অন্যদিকে, উত্তর ২৪ পরগনায় (North 24 Parganas) পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আধিকারিকরা। বৈঠকের পর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তাপস রায় জানান, “ওরা দেখে গেল। পরিস্থিতি ঠিক আছে, কোনও অসুবিধা নেই।’’ সূত্রের খবর, জেলায় কোভিড আক্রান্তদের চিকিত্সার পরিকাঠামো সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা।