![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
Sonarpur Murder: স্ত্রীকে খুন করে ৩ বছর ধরে দেহ রাখা ছিল বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে, অপরাধ কবুল স্বামীর
জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত দাবি করেন, স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। সেই রাগে খুন করে ভাড়া বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে লুকিয়ে রাখেন স্ত্রীর দেহ।
![Sonarpur Murder: স্ত্রীকে খুন করে ৩ বছর ধরে দেহ রাখা ছিল বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে, অপরাধ কবুল স্বামীর sonarpur wife killed by husband, body was kept in the septic tank of the house for 3 years Sonarpur Murder: স্ত্রীকে খুন করে ৩ বছর ধরে দেহ রাখা ছিল বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে, অপরাধ কবুল স্বামীর](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2023/06/24/5119eb26864c4a85a376f41e80dd80971687609983591176_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
পার্থপ্রতিম ঘোষ ও রঞ্জিত হালদার, সোনারপুর: সোনারপুরের (Sonarpur) স্ত্রীকে খুন করে ৩ বছর ধরে বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ। সিআইডি-র (CID) জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধ কবুল স্বামীর। ঘটনাটি ২০২০ সালের মার্চ মাসের। ঘটনায় স্বামীর হাত রয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করে সোনারপুর থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন গৃহবধূ টুম্পা মণ্ডলের বাবা। ২০২০-র এপ্রিলে গ্রেফতারও হয় টুম্পার স্বামী ভোম্বল মণ্ডল। কিন্তু জামিন পেয়ে যায়। এরপরও মেয়ের খোঁজ না মেলায়, হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন টুম্পার বাবা।
গত ১৩ জুন, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তে নেমে টুম্পার পরিবার ও তাঁর স্বামীর বক্তব্যে অসঙ্গতি খুঁজে পান রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দারা। এর পরই গৃহবধূর স্বামীকে আটক করে সিআইডি। জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত দাবি করে, স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। সেই রাগে খুন করে ভাড়া বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে লুকিয়ে রাখে স্ত্রীর দেহ।
অপরাধ লুকোতে মিথ্যের জাল বুনেছিলেন! তিন বছর আগে স্ত্রীকে খুনের পর সেপটিক ট্যাঙ্কে দেহ গুম করে বলেছিলেন, তাঁকে খুঁজে পাচ্ছেন না! এতদিন পর সিআইডি-র জিজ্ঞাসাবাদে সেই অপরাধ কবুল করলেন স্বামী! রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ২০২০ সালের মার্চ, হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের গৃহবধূ টুম্পা মণ্ডল। তার আগে বাপের বাড়িতে ফোন করে টুম্পা জানান, স্বামী মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করছে। ঘটনায় স্বামীর হাত রয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করে সোনারপুর থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন গৃহবধূর বাবা।
অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বছরের এপ্রিলে গ্রেফতারও হয় টুম্পার স্বামী ভোম্বল মণ্ডল। কিন্তু, জামিন পেয়ে যান। অভিযুক্ত সেই সময় দাবি করেন, স্ত্রী বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর আর ফেরেনি। এরপরও মেয়ের খোঁজ না মেলায়, হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন টুম্পার বাবা।
গত ১৩ জুন, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তে নেমে টুম্পার পরিবার ও তাঁর স্বামীর বক্তব্যে অসঙ্গতি খুঁজে পান রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দারা। এরপরই গৃহবধূর স্বামীকে আটক করে সিআইডি। জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত দাবি, স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। সেই রাগে গলা টিপে খুন করে সেপটিক ট্যাঙ্কে স্ত্রীর দেহ লুকিয়ে রাখেন। শনিবার, অভিযুক্তকে সঙ্গে নিয়ে সোনারপুরে গিয়ে বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে গৃহবধূ মৃতদেহ উদ্ধার সিআইডি আধিকারিকরা। উপস্থিত ছিলেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)