Diamond Harbour: 'শিশুদের যৌন নিগ্রহের মামলার রায় পছন্দ হয়নি', দুষ্কৃতীদের দাপাদাপি; চিঠিতে আতঙ্কের কথা লিখলেন বিচারকরা
Miscreants Fear: দুষ্কৃতীদের কাছে প্রাণঘাতী অস্ত্র রয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রকাশ সিনহা ও পার্থপ্রতিম ঘোষ, ডায়মন্ড হারবার : নিরাপত্তাহীনতায় খোদ বিচারকরাই ! রায় পছন্দ না হওয়ায় বিচারকদের আবাসনে দুষ্কৃতীদের দাপাদাপি বলে অভিযোগ উঠছে! শিশুদের যৌন নিগ্রহের মামলার রায় পছন্দ না হওয়ায় এই পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে বলে সন্দেহ বিচারকদের। এক পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে দুষ্কৃতীদের মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে !
অভিযোগ জানিয়েছেন তিনজন বিচারক। ডায়মন্ড হারবার সাব ডিভিশন কোর্টে তাঁরা বসেন। ডায়মন্ড হারবার কোর্টের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট জজ এবং অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট জজ ৪ নম্বরের সই রয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, গত ৮ তারিখ রাতে তাঁদের আবাসনে হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। সেই চিঠি ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারকে কাছেে পৌঁছে গিয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা জজকে চিঠি দিয়েছিলেন তাঁরা। তিনি সেই চিঠি ফরওয়ার্ড করেছেন।
তাতে দুষ্কৃতীদের কাছে প্রাণঘাতী অস্ত্র রয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। চিঠিতে তাঁরা লিখেছেন, তাঁরা দেখছেন ক্যাম্পাসের বাইরে দুষ্কৃতীরা ঘোরাঘুরি করছে। জোর করে তারা আবাসিকদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার চেষ্টা করছে। সেখানে নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের আটকান।
বিচারকরা এই চিঠিতে এও উল্লেখ করেছেন, ঘটনার জেরে তাঁরা এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এই দুষ্কৃতীদের মদত দিয়েছেন এক পুলিশ অফিসার, এমনই অভিযোগও জানিয়েছেন তাঁরা। সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারের নামও তাঁরা উল্লেখ করেন। শিশুদের যৌন নিগ্রহ মামলায় রায় পছন্দ না হওয়ায় দুষ্কৃতীদের এই দাপাদাপি বলে সন্দেহ করছেন বিচারকরা। POCSO-র একাধিক মামলায় যেহেতু অনুকূলে রায় দেওয়া হয়নি, তাই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
এদিকে জেলা জজকে বিচারকদের চিঠির পরই নড়েচড়ে বসল ডায়মন্ড হারবার পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শোকজ করা হয়েছে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে। নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বিচারকদের আবাসনের। জানানো হয়েছে ডায়মন্ড হারবার পুলিশের তরফে। এই পরিস্থিতিতে সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্ট দুষ্কৃতীদের খোঁজ করা হচ্ছে বলেও পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।
এপ্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'এ ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টের দৃঢ় পদক্ষেপ হওয়া উচিত। কারণ, এটা বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ। এতে বোঝা যায়, এ রাজ্যে আইনের শাসন বলে কিছু নেই। এটা খুব দুর্ভাগ্যের কথা।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।