Narendrapur: দৌড়ে গিয়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় মহিলার, লিভ-ইন পার্টনারের গলা ও হাতের শিরা কাটার অভিযোগ !
Live in Partner : ওই মহিলা নিজের পরিবার ছেড়ে বাবু নামে যুবকের সঙ্গে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ভাড়া থাকতেন
রঞ্জিত হালদার, নরেন্দ্রপুর : লিভ-ইন পার্টনারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা ও হাতের শিরা কাটার অভিযোগ ৷ আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে আক্রান্ত মহিলাকে ৷ শুক্রবার রাতে গড়িয়া স্টেশন সংলগ্ন নতুনপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে ৷ ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত যুবক বাবু ৷ এনিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷ অভিযুক্তের সন্ধানে নানান জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ৷
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এক মহিলা বাঁচার জন্য দৌড়ে পালিয়ে গিয়ে একজনের বাড়িতে আশ্রয় নেন ৷ তাঁরাই তাঁকে উদ্ধার করেন ৷ ওই মহিলা নিজের পরিবার ছেড়ে বাবু নামে যুবকের সঙ্গে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ভাড়া থাকতেন ৷ প্রায়ই তাঁদের মধ্যে অশান্তি হতো বলে অভিযোগ ৷ বাবুর এলাকার একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ ৷
জানা গেছে, গতকাল সন্ধে থেকে চরম অশান্তি শুরু হয় দু'জনের মধ্যে ৷ তখনই ধারালো কিছু দিয়ে মহিলার শরীরের বিভিন্ন অংশ ক্ষতবিক্ষত করে দেয় ওই যুবক ৷ স্থানীয় বাসিন্দারা নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশকে (Narendrapur Police Station) খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আক্রান্ত মহিলাকে উদ্ধার করে ৷ রাতে প্রথমে তাঁকে সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতাল ও পরে অবস্থার অবনতি হলে বাঙুর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় ৷ সেখানেই আপাতত তাঁর চিকিৎসা চলছে ৷
লিভ-ইন সম্পর্ক নিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ-
বিবাহ পর্যন্ত না গড়ালে লিভ-ইন সম্পর্ক (Live-in Relationship) আসলে বিপরীত লিঙ্গের মানুষের প্রতি এক ধরনের মোহ ! যেখানে আন্তরিকতার অভাব রয়েছে ! গত অক্টোবর মাসে এক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এমনই পর্যবেক্ষণ এলাহাবাদ হাইকোর্টের (Allahadabad HC)। তরুণ এক যুগলের পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে করা মামলার প্রেক্ষিতে শুনানিতে এমনটাই জানায় তারা।
বিচারপতি রাহুল চতুর্বেদী ও বিচারপতি আজহার হুসেন ইদরির বেঞ্চ মামলার শুনানিতে জানান, জীবন গোলাপের বাগান নয়। প্রত্যেক যুগলকে জীবনের রুক্ষ পথ টপকে এগোতে হয়। আদালত মনে করে এই ধরনের (লিভ-ইন) সম্পর্ক বিপরীত লিঙ্গের মানুষের প্রতি মোহ ছাড়া কিছু নয়। এক্ষেত্রে আত্মরিকতা, স্থায়িত্বের অভাব রয়েছে। যতক্ষণ না লিভ-ইনে থাকা কোনও যুগল বিবাহের সিদ্ধান্ত নেন, ততক্ষণ নিশ্চিতভাবে বলা যায় না ওই যুগল একে অপরের প্রতি আন্তরিক। তাই এই ধরনের (লিভ-ইন) সম্পর্ক নিয়ে বাড়তি কোনও মতপ্রকাশ করতে নারাজ আদালত।
এক মুসলমান যুবক ও এক হিন্দু যুবতী বেশ কিছুদিন ধরে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। তাঁদের নিরাপদে থাকা প্রশ্নের মুখে পড়ছে বলে অভিযোগ করে যুবতীর কাকিমার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে এফআইআর (FIR) দায়ের করা হয়। নিরাপত্তার অভাব, যা নিয়ে মামলাও হয়। সেই প্রসঙ্গেই মতামত দিতে গিয়ে, আদালত তাদের পর্যবেক্ষণ সামনে রাখে।