South 24 Paragana News: দোকানে ঢুকে এই কাণ্ড ? কাঠগড়ায় তৃণমূল কাউন্সিলর ; হুলস্থূল নরেন্দ্রপুরে
TMC Councilor: যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর।
রঞ্জিত হালদা, নরেন্দ্রপুর : বাগুইআটির পর এবার নরেন্দ্রপুর। ফের তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ। নরেন্দ্রপুর সেটশন সংলগ্ন কাদারহাট এলাকায় এই অভিযোগ তুললেন এক ব্য়বসায়ী। ব্য়বসায়ী সুব্রত সরকারের অভিযোগ, গতকাল দোকানে ঢুকে তাঁর ছেলেকে রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর রঞ্জিত মণ্ডল মারধর করেন। লুঠ করা হয় দেড় লক্ষ টাকা। এমনকী দোকানে তাণ্ডব চালিয়ে, বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তুলেছেন ব্য়বসায়ী। ঘটনায় নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগ, তারপরও তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর।
আক্রান্ত ব্যবসায়ীর ছেলে তন্ময় সরকার বলেন, "দোকান খুলে বসেছিলাম। হঠাৎ করে আমাদের এখানকার কাউন্সিলর রঞ্জিত মণ্ডল এলেন। আমি দোকানে বসে থাকা অবস্থায় এসে দোকানের শাটার বন্ধ করতে বললেন। গালিগালাজ করেন। দুমদাম চড়-থাপ্পড়, মাথার চুল ধরে টানেন। শাটারে লাথিও মারেন। আমাদের এখানের কয়েকজন ধরে বাঁচান। তারপর দোকানে তালা মেরে দিয়ে চলে যান।
অভিযোগকারী ব্যবসায়ী সুব্রত সরকার বলেন, "ছেলে ফোন করে কান্নাকাটি করছে। বলছে, এই ব্যাপার। বলছে, আমার বুকে লাথি মারছে। শাটার বন্ধ করতে দিচ্ছে না। গালে সপাটে চড় মারছে। বাজারে কিছু লোকজন ছিলেন, তাঁরা কোনও রকমে ওঁর হাত থেকে ছেলেকে কেড়ে নেন। ওখান থেকে স্টেশনের দিকে বের করে দেন। রঞ্জিত মণ্ডলই আমার দোকানে তালা মেরে দিয়েছেন। আমরা আতঙ্কে আছি। এটা প্রথম নয়। ৭ বছর আগে একবার আমাকে রক্তপাত করেছিলেন। একটা লোক এখানে ওঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলবে না। যে মুখ খুলবে অন্ধকারে তাঁর বাড়িতে গিয়ে ছেলে-মা-বউকে...যাকে ইচ্ছা ধরে মারবে।
অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর রঞ্জিত মণ্ডল অবশ্য বলছেন, "ওইটুকু বাচ্চা ছেলের গায়ে হাত দেব ? যার বয়স কত ? ১৭ পেরোয়নি এখনও। ভোটার লিস্টে নাম ওঠেনি। যাঁরা ছিলেন, তাঁরা বলুন আমি গায়ে হাত দিয়েছি কি না ।"
এদিকে পাঁচদিন পার। বাগুইআটিতে প্রোমোটার পিটিয়ে উধাও তৃণমূল কাউন্সিলর। টিকিই ছুঁতে পারছে না পুলিশ। কলকাতায় তোলাবাজির অভিযোগে আলিপুরদুয়ারের চিলাপাতা জঙ্গলে প্রোমোটারের রিসর্টেও গেছে পুলিশ। কিন্তু অভিযুক্ত কাউন্সিলরের নাগাল মেলেনি। ফোন করলেই 'নট রিচেবল', খোদ পুলিশই দিশাহারা। আক্রান্ত প্রোমোটারের প্রশ্ন, প্রভাবশালী বলেই কি তৃণমূল কাউন্সিলর অধরা ? কেন ধরতে পারছে না পুলিশ ? চাপের মুখে গতকাল প্রোমোটারের বাড়ি গিয়ে নিরাপত্তার আশ্বাস দেন বাগুইআটি থানার IC অমিত মিত্র। প্রশ্ন উঠছে, সান্ত্বনা দিয়েই ক্ষান্ত পুলিশ ?