South 24 Pargana: প্রাণ হাতে খাঁড়িতে, বাঘের হানায় প্রাণ গেল মৎস্যজীবীর
Tiger Attack: ঝিলার জঙ্গলের কাছে নৌকোয় লাফিয়ে পড়ে ওই মত্স্যজীবীকে টেনে নিয়ে যায় রয়্যাল বেঙ্গল। মৃত্যুর খবর পৌঁছতেই, শোকে পাথর গোটা গ্রাম।
শান্তনু নস্কর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সুন্দরবনে ফের বাঘের হানায় মত্স্যজীবীর মৃত্যু। মৃতের সঙ্গীদের দাবি, ঝিলার জঙ্গলের কাছে নৌকোয় লাফিয়ে পড়ে ওই মত্স্যজীবীকে টেনে নিয়ে যায় রয়্যাল বেঙ্গল। মৃত্যুর খবর পৌঁছতেই, শোকে পাথর গোটা গ্রাম। মৃত মৎস্যজীবীর (Fisherman) নাম সন্ন্যাসী মন্ডল।
প্রাণের ঝুঁকি রয়েছে। কিন্তু পেটও তো চালাতে হবে। তাই, হাতে প্রাণ নিয়ে সুন্দরবনের (Sundarban) গভীর জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই বাঘের হানায় প্রাণ খোয়ালেন।
স্থানীয়রা কী জানাচ্ছে?
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার সকালে, কাঁকড়া ধরতে যান, দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা ব্লকের সুন্দরবন কোস্টাল থানা (Sundarban Coastal Police Station) এলাকার ৪ মত্স্যজীবী। ঝিলা ৫নং জঙ্গলের বলখালির কাছে খাঁড়িতে নৌকো করে কাঁকড়া ধরছিলেন তাঁরা।
সঙ্গীদের দাবি:
মৃতের সঙ্গীদের দাবি, কাঁকড়া ধরার সময়ে আচমকা নৌকোয় ঝাঁপিয়ে পড়ে একটি বাঘ। চোখের নিমেষে টেনে নিয়ে যায়, সন্ন্যাসী মণ্ডল নামে এক মত্স্যজীবীকে। বাঘের হানায় কয়েক মুহূর্তের জন্য থমকে গেলেও, পরক্ষণেই লাঠি নিয়ে পাল্টা ধাওয়া করেছিলেন, দাবি সঙ্গীদের। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। বাঁচানো যায়নি ওই মৎস্যজীবীকে। জঙ্গলে উদ্ধার হয় ওই মত্স্যজীবীর প্রাণহীন রক্তাক্ত দেহ। মৃতের দেহ গ্রামে পৌঁছতেই, কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার। কুমিরমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দেবাশিস মণ্ডল বলেন, 'না করা হয় যেতে। ওঁরা তবু যায়।'
বন দফতরের বক্তব্য:
সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভের অধিকর্তা তাপস মণ্ডল জানিয়েছেন, ঠিক কোন জায়গায় বাঘের হানায় মৃত্যু হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। মত্স্যজীবীদের কাছে বৈধ কাগজপত্রও ছিল না। বর্ষার মরসুমের আগে, যেহেতু মাছেরা মোহনায়, খাঁড়িতে ডিম পাড়তে আসে, তাই এই সময় মাছ বা কাঁকড়া ধরা নিষেধ। তার পরে কী করে এই ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।