(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Abhishek Banerjee: 'ডেলি প্যাসেঞ্জারি করে নির্বাচন জেতা যায় না', বিজেপিকে তোপ অভিষেকের
Abhishek attacks BJP: জলের ইস্যুকে হাতিয়ার করে এদিন গেরুয়া শিবিরকে জোর আক্রমণ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কী বললেন তিনি ?
নোদাখালি, দক্ষিণ ২৪ পরগণাঃ নোদাখালিতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) এদিন বলেন, 'আমি যেটা পারবো না, সেটা আমি মুখের উপর বলব, এটা আমার দ্বারা সম্ভব নয়। কিন্তু যেটা আমি কথা দেব, আমি এক কথার ছেলে, যা বলব করে ছাড়ব। আমি বলেছিলাম, জলের ব্যবস্থা করব, কিন্তু দীর্ঘ ২ বছর করতে পারিনি। তবে অঞ্চলে অঞ্চলে আমি ২০-২৫ টা করে টিউবওয়েল দিয়েছি। সাময়িক একটা সুরাহা তো হবে। মানুষ জল তো পাবে। আমি ২ বছর আপনাদের থেকে চাইছি। মার্চ ২০২৪ এর মধ্যে একটা বাড়ি বাদ থাকবে না, যার বাড়িতে জল পৌঁছবে না।'
'২০২৪ এর মধ্যে একটা বাড়ি বাদ থাকবে না, যার বাড়িতে জল পৌঁছবে না'-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রসঙ্গত, একুশের নির্বাচনের আগে রাজ্যে এসে বিজেপির শীর্ষ নের্তৃত্বরা ক্ষমতা এলে বাংলার ঘরে জল পৌঁছে দেবার কথা বলেছিলেন। বিশেষ করে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কেন্দ্রীয় কৃষি প্রকল্পের পাশাপাশি জলপ্রকল্পের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। তবে তৃতীয়বার ফের ক্ষমতায় এসে সরকার গঠন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই ডবলইঞ্জিন সরকারও গঠন হয়নি। পানীয় জলের প্রকল্পও অধরা রয়ে গিয়েছে। আর এবার সেই জলের ইস্যুকে হাতিয়ার করে এদিন গেরুয়া শিবিরকে জোর আক্রমণ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বজবজে আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জল
'ডেলি প্যাসেঞ্জারি করে নির্বাচন জেতা যায় না'-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
তিনি আরও বলেন, 'ডেলি প্যাসেঞ্জারি করে নির্বাচন জেতা যায় না।' মূলত রাজ্যে একুশের নির্বাচনের আগে যেভাবে তৃণমূল ছেড়ে একের পর এক হেভিওয়েট নেতা, মন্ত্রী (শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ আরও অনেকে) বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন, তাতে ঘাসফুলের তৃতীয়বার সরকারে আসা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিল না অনেকেই। বুকধুকপুক দলের বাইরে প্রকাশ পেয়েছিল। আর ততটাই শক্ত হয়ে উঠছিল পদ্মশিবির। বিজেপির একের পর এক সভায় দিল্লি থেকে কপ্টারে করে শীর্ষ নেতারা ভাষণ দিতে এসেছিলেন। এবং সেই সভাতেই পদ্ম হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল দলত্যাগীদের।
আরও পড়ুন,'এই সব চুনোপুঁটি'-কে নয়, 'যার নির্দেশে এই কমিটি, তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে', বিস্ফোরক বিকাশরঞ্জন
এমনকি ভোটের আগে প্রায় 'এই তৃণমূল আর নয়, আর নয়' গানে-স্লোগানে ভরে গিয়েছিল বাংলা। কিন্তু সেই বিশাল ভরাডুবির আশঙ্কার পাহাড় পেরিয়ে তৃতীয়বারেও জয়ের হাসি হেসেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ভোটের ফলপ্রকাশের পর পুরোপুরি উলটপূরাণ। দলেদলে বিজেপি বিয়োগ, রাজ্যস্তরে, জেলাস্তরে। ঘুমে উড়েছে বঙ্গ বিজেপির। প্রশ্ন তুলেছিলেন অনুপম হাজরা থেকে আরও অনেকেই। তার পরেও দলের ভাঙন ঠেকানো যায়নি। 'তৃণমূলে কোনও দিন নয়', বলেও দল ছেড়েছেন খোদ বাবুলও। রাজ্যে বিজেপির একাধিক বিধায়ক বিয়োগের পর রাজ্যে নাড্ডা-শাহ-রা এলেও অন্দরের কোন্দল বাইরে বেরিয়ে এসেছে।স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির ডবল ইঞ্জিনের সরকার না আসায় সেই প্রতিশ্রুতিগুলিও অধরা রয়ে গিয়েছে। আর এদিন ঠিক সেই জায়গাতেই নিশানা করলেন তৃণমূলের যুবরাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।