South 24 Parganas News: ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়েই স্কুলে শিক্ষক পদে যোগ দেওয়ার চেষ্টা !
জেলা শিক্ষা দফতরের দাবি, এক মাসে এ নিয়ে চারবার এরকম ঘটনা ঘটেছে। গোটা বিষয়টি জানানো হয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতরে।
গৌতম মণ্ডল, অনির্বাণ বিশ্বাস ও দীপক ঘোষ দক্ষিণ ২৪ পরগনা: শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড়ের মধ্যেও কি সক্রিয় রয়েছে দুর্নীতির চক্র? পাথরপ্রতিমায় ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে স্কুলে শিক্ষক পদে যোগ দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগের ঘটনায় উঠছে প্রশ্ন। জেলা শিক্ষা দফতরের দাবি, এক মাসে এ নিয়ে চারবার এরকম ঘটনা ঘটেছে। গোটা বিষয়টি জানানো হয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতরে।
নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য জুড়ে শোরগোল চলছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি, দু'জনেই বর্তমানে জেলে। সম্প্রতি টেট পাস না করেই, ৭ বছর ধরে প্রাথমিক শিক্ষকের পদে কাজ করা ৯৪ জন অযোগ্য প্রার্থীর নিয়োগপত্র বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ! কিন্তু তাতেও দুর্নীতি বা জালিয়াতি কমছে কই? এবার ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে বিদ্যালয়ে যোগ দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমায়। নিয়োগপত্র দেখে সন্দেহ হওয়ায়, স্কুল পরিদর্শকের অফিস থেকেই বেপাত্তা হয়ে গেলেন অভিযুক্ত। এরইমধ্যে চাঞ্চল্যকর বিষয় হল, জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে দাবি, সম্প্রতি এরকম ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে স্কুলে যোগ দেওয়ার একাধিক চেষ্টা হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ভুয়ো নিয়োগপত্র তৈরির কোনও চক্র কাজ করছে? এই হল পাথরপ্রতিমার মহেশপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়।
গত ১৬ অক্টোবর, এখানেই ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষক পদে যোগ দিতে আসেন দক্ষিণ কাশীনগরের বাসিন্দা উৎপল দাস। এই হল সেই ভুয়ো নিয়োগ পত্র। আর এই নিয়োগপত্র দেখে সন্দেহ হয় বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক-সহ বাকিদের। কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মতো পরের দিন অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসে যান ওই যুবক। অভিযোগ, সেখানেও নিয়োগপত্র নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পরই, হঠাৎ বেপাত্তা হয়ে যান। এই পরিস্থিতিতে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান। তাঁর অভিযোগ, গত এক মাসে এরকম চারটি ঘটনা ঘটেছে। যদিও চাকরিপ্রার্থীর পরিবারের দাবি, উৎপল নির্দোষ।
আরও পড়ুন, পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমল একাধিক শহরে, কী দর কলকাতায় ?
অভিযুক্তের বাবা বলেছেন, আজ পর্যন্ত কারও কাছে মিথ্যে কথা বলিনি। সৎ পথে থাকি। আর ছেলেকেও সেইভাবে শিক্ষা দিয়েছি, যাতে সে সৎ পথে থাকে। মনে হয় অন্য কারও প্ররোচনায় পড়ে ও হয়ত টাকা পয়সা দিয়ে কাজ করতে পারে। যে লোক, ও থেকে টাকা পয়সা যাকে দিয়েছে, সে যেন শাস্তি পায়। ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে স্কুলে চাকরিপ্রার্থী ১ মাসে এরকম চারটি ঘটনা, বলছে জেলা শিক্ষা দফতর!এখনও সক্রিয় নিয়োগ দুর্নীতির চক্র? সূত্রের খবর, গোটা বিষয়টি স্কুল শিক্ষা দফতরকে জানানো হয়েছে।