Kasba Molestation : 'পেট কেটে দেব..', 'ম্যাঙ্গো'র হুমকি পেয়ে ছেলেকে কলেজ যেতেই না করেছিলেন মা-বাবা
মনোজিতের লবিতে যোগ না দিলে পড়ুয়ার মা-বাবাকে পর্যন্ত হুমকি দিতে ছাড়েনি 'গুণধর' মনোজিৎ। ২০১৯-এর ১৭ ডিসেম্বরকসবাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রের বিরুদ্ধে আনন্দপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সারদাপল্লির বাসিন্দা মুকুন্দ পাণ্ডে।

আবির দত্ত, কলকাতা: 'আমার নাম ম্য়াঙ্গো। শ্যুট করে দেব কিন্তু আমরা' ফোন এসেছিল তাঁর কাছে। অপরাধ? তাঁর ছেলে মনোজিতের লবিতে যোগ দেয়নি। এখনও ফোনের কথা ভাবলে কেঁপে ওঠেন তাঁরা। ছেলেকে পড়তে পাঠিয়ে এ কী বিড়ম্বনা! কলেজের যে মেয়ের ওপরই নজর পড়বে তাকেই যৌন নির্যাতন! আর বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর ছেলে হলেই তাঁকে মেরে দেওয়ার হুমকি! এটাই ছিল কসবা গণধর্ষণকাণ্ডে ধৃত, তৃণমূল কর্মী মনোজিত মিশ্রর সাম্রাজ্যের নিয়ম। একটা দুটো নয়, একের পর এক অন্যায়ের ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠছে মনোজিতের বিরুদ্ধে।
'ছেলেকে কলেজে ঢুকতে দেব না'
সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের এক প্রাক্তন ছাত্র জানালেন, তিনি মনোজিতের কথা মানতে চাননি, ভিড়তে চাননি তাঁর দলে। তার পরিণাম ভুগতে হয়েছিল বাবা-মাকে। ফোন করে কার্যত প্রাণে মারারই হুমকি দেওয়া হয়েছিল। মনোজ কুমার পাণ্ডের কথায়, 'মা-বাবাকে হুমকি দেয়। যে আপনার ছেলেকে কলেজে ঢুকতে দেব না। বলেছিল গুলি করে মেরে দেব। তুলে নিয়ে যাব। তারপর বলেছিল পেট কেটে দেব। একপ্রকার হত্য়া করারই হুমকি দিয়ে গেছিল। বলেছিল যে আপনার ছেলেকে গায়ের করে দেব।'
'মস্তান' মনোজিৎ!
মনোজিতের লবিতে যোগ না দিলে পড়ুয়ার মা-বাবাকে পর্যন্ত হুমকি দিতে ছাড়েনি 'গুণধর' মনোজিৎ। ২০১৯-এর ১৭ ডিসেম্বর
কসবাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রের বিরুদ্ধে আনন্দপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সারদাপল্লির বাসিন্দা মুকুন্দ পাণ্ডে, যাঁর ছেলে মনোজকুমার পাণ্ডে সেসময় কসবা ল' কলেজেরই পড়ুয়া ছিলেন। মুকুন্দ পাণ্ডে অভিযোগ জানান, ১৬ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ তাঁর উত্তর পঞ্চান্নগ্রামের দোকানে চড়াও হয় মনোজিৎ ও তার দলবল।
সে সময় স্বামীর সঙ্গেই দোকানে ছিলেন মনোজের মা নমিতা পাণ্ডে। এতবছর পরও সেই আতঙ্ক এখনও তাজা! অভিযোগকারীর দাবি, আনন্দপুর থানার পাশাপাশি কসবা থানাতেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তবে, লাভের লাভ কিছু হয়নি। মুকুন্দ পাণ্ডের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।
আসলে, কসবার LAW কলেজে, গণধর্ষণকাণ্ডে ধৃত মনোজিৎ মিশ্রর প্রভাব ছিল অপরিসীম। দিনের পর দিন কীভাবে কলেজে মনোজিতের মৌরসিপাট্টা চলত, তা নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেছেন সাউথ ক্য়ালকাটা ল কলেজের অনেক ছাত্রীও। কিন্তু এত কিছু হয়ত সামনে এসেও আসত না, যদি না ২৫ জুনের ঘটনা না ঘটত ।






















