South Calcutta Law College Case : 'ইনহেলার দিয়ে একটু সুস্থ হতেই ধর্ষণ' ভয়ঙ্কর অভিযোগে আদালতে কী সাফাই দিলেন মনোজিতের আইনজীবী?
, মঙ্গলবার মনোজিৎ মিশ্র-সহ কসবা গণধর্ষণকাণ্ডে মঙ্গলবার ধৃত চারজনকে ফের পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর পক্ষে সওয়াল করেন সরকারি আইনজীবী। কী বলেন মনোজিতের আইনজীবী?

পার্থপ্রতিম ঘোষ, ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, সত্য়জিৎ বৈদ্য, কলকাতা : কসবাকাণ্ডে অভিযোগকারিণীর বয়ানের সঙ্গে পারিপার্শ্বিক তথ্য়প্রমাণ হুবহু মিলে যাচ্ছে। মঙ্গলবার সরকারি আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেন, "অভিযোগকারিণী অসুস্থ হয়ে পড়লে, ইনহেলার দিয়ে, তাঁকে সুস্থ করে, ফের যৌন নির্যাতন চালানো হয়। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে অভিযুক্তরা কতটা বেপরোয়া ছিল।" এই সওয়ালে ভর করেই, মঙ্গলবার মনোজিৎ মিশ্র-সহ কসবা গণধর্ষণকাণ্ডে মঙ্গলবার ধৃত চারজনকে ফের পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর পক্ষে সওয়াল করেন সরকারি আইনজীবী।
এদিন আদালতে সরকারি আইনজীবী বলেন, অভিযোগকারিণীর যে বয়ান, তার সঙ্গে ইলেকট্রনিক এভিডেন্স অর্থাৎ সিসি ক্য়ামেরার ফুটেজ, মোবাইলের ভিডিও মিলে যাচ্ছে। অভিযুক্তদের ফের ঘটনাস্থলে নিয়ে যেতে হবে। পারিপার্শ্বিক তথ্য়প্রমাণ আরও খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। অপরাধের বীভৎসতা বোঝাতে সরকারি আইনজীবী সৌরীন ঘোষাল বলেন, অভিযোগকারিণী জানিয়েছেন, প্রথমে তাঁর ওপর এক দফা নির্যাতন চালানো হয়। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে, ইনহেলার কিনে, তাঁকে দিয়ে, সুস্থ করে, ফের যৌন নির্যাতন চালানো হয়। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে অভিযুক্তরা কতটা বেপরোয়া ছিল। বলেন, ধৃত তৃণমূলকর্মী মনোজিৎ মিশ্রর আইনজীবী জামিনের আবেদন করেননি। তবে তিনি আদালতে বলেন, এটা একটা ষড়যন্ত্র। তবে আমরা তদন্তে সহযোগিতা করতে চাই। ধৃত মনোজিত মিশ্রর হয়ে মামলা লড়ছেন আইনজীবী রাজু গঙ্গোপাধ্য়ায়।
ধৃত মনোজিৎ মিশ্র, প্রমিত মুখোপাধ্য়ায়, জেব আহমেদকে ৮ জুলাই অবধি এবং কলেজের নিরাপত্তারক্ষী পিনাকী বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে ৪ জুলাই অবধি পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। মঙ্গলবার ধৃত চারজনকে আদালতে পেশ করার আগে, তাঁদের দৃষ্টামূলক শাস্তির দাবিতে, আলিপুর আদালত চত্বরে বিক্ষোভ দেখায় আইনজীবীদের সংগঠন অল ইন্ডিয়া ল ইয়ার্স ইউনিয়ন। অভিযুক্তদের তরফে যাতে আলিপুর আদালতে কোনও আইনজীবী সওয়াল না করেন, তারজন্য দুটি বার কাউন্সিলের কাছে লিখিত আবেদন জানায় বিজেপির লিগাল সেল।
সূত্রের খবর, কসবার এই গণধর্ষণকাণ্ডে পুলিশের স্ক্যানারে রয়েছেন আইন কলেজের ১৬ জন পড়ুয়া। CC ক্যামেরার ফুটেজ থেকে ওই পড়ুয়াদের চিহ্নিত করা হয়। তাঁদের সম্পর্কে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছিল। এই ১৬ জন পড়ুয়াকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। মনোজিতের কল ডিটেলস দেখে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ঘটনার রাত থেকে পরের দিন গ্রেফতার হওয়ার আগে পর্যন্ত কার কার সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল।






















