Kasba Student Rape Case: কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণ; প্রতিবাদে বিক্ষোভে SFI-DYFI, কসবা থানায় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি
Kasba Student Rape Case: সাউথ ক্যালকাটা ল' কলেজে 'গণধর্ষণের' শিকার কলেজেরই ছাত্রী।

কলকাতা: সাউথ ক্যালকাটা ল' কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ। প্রতিবাদে কসবায় বিক্ষোভে SFI ও DYFI। কসবার কলেজ থেকে ছিড়ে ফেলা হল মমতা-অভিষেকের ফ্লেক্স। কসবা থানার সামনে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাম ছাত্র-যুব কর্মীদের।
আইন কলেজেই আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে রণক্ষেত্র কসবায়। সাউথ ক্যালকটা ল' কলেজের এই ঘটনায় ফের প্রশ্ন উঠছে নারী নিরাপত্তা নিয়ে। এদিন কলেজের গেট আটকে বিক্ষোভ দেখায় SFI এবং DYFI। বিক্ষোভকারীরা গেট টপকে কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকে ছিড়ে ফেলে মমতা-অভিষেকের ফ্লেক্স। এরপর তাঁরা ঘেরাও করে কসবা থানা। থানার সামনে বাম ছাত্র যুবরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। বিক্ষোভে কসবা থানার সামনে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে র্যাফের সঙ্গে হাতাহাতি বেঁধে যায় বাম ছাত্র-যুবদের। তাড়া করে পুলিশ। এরপর বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারে।
ঠিক কী অভিযোগ?
নির্যাতিতার অভিযোগ, বুধবার বেলা ১২টা ৫-এ তিনি পরীক্ষার ফর্ম ফিলআপ করার জন্য কলেজে যান। কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর তিনি ইউনিয়ন রুমে বসেছিলেন। সেই সময় কলেজের প্রাক্তনী এবং কর্মী মনোজিৎ অপেক্ষা করতে বলেন। বাকিরা চলে গেলে, বিকেল ৪টে নাগাদ বেরোনোর চেষ্টা করেন ওই তরুণী। সেই সময় তাঁকে বাধা দেওয়া হয়, এবং ইউনিয়ম রুমে বসিয়ে রাখা হয়। সন্ধে ৬টা নাগাদ মনোজিৎ জানায় সে ওই তরুণীকে পছন্দ করে এবং তাঁর গার্লফ্রেন্ড থাকা সত্ত্বেও ভালবাসে। এমনকী বিয়ের প্রস্তাবও দেয় অভিযুক্ত। আমি বলি, আমার বয়ফ্রেন্ড রয়েছে, আমি তাঁকে ভালবাসি, তাঁকে ছাড়া সম্ভব নয়। ছাত্রীর অভিযোগ, ফের কলেজের গ্রাউন্ড ফ্লোরের ইউনিয়ম রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। আরও কিছুক্ষণ সেখানে অপেক্ষা করতে বলা হয়।''
আইনের ছাত্রী পুলিশকে জানিয়েছেন, "সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ ফিরে আসেন মূল অভিযুক্ত। ওয়াশরুমের কাছে নিয়ে গিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেয় মনোজিৎ। বিয়ের প্রস্তাবে প্রত্যাখ্যানের পর চড়াও হয় মনোজিৎ। শৌচাগারের কাছেই অসুস্থ হয়ে পড়ি। অসুস্থ হয়ে পড়ায় আমাকে রুবি হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলি। এর পরে ইনহেলার নিয়ে আসার কথা বলি। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পরে বাড়ি ফেরার জন্য কলেজের গেটের দিকে যাই। কিন্তু বন্ধ ছিল মেন গেট। এরপরে আবার ইউনিয়ন রুমে নিয়ে যায় মনোজিৎরা। পা ধরে কান্নাকাটি করে অনুরোধ করলেও ছাড়েনি মনোজিৎরা। এরপরে জোর করে নিরাপত্তারক্ষীর রুমে নিয়ে যায়। গার্ড রুমে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে মনোজিৎ। বাইরে পাহারা দিচ্ছিল প্রমিত-জেইব। এরপরই ধর্ষণ করে। ধর্ষণে বাধা দিতে গিয়ে মাথায় চোট লাগে। হকিস্টিক দিয়ে হামলা চালায়। ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করা হয়। প্রেমিককে খুন, বাবাকে গ্রেফতারির হুমকিও দেয়।''






















