Partha Chatterjee : ‘কোনওভাবেই উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হতে পারবেন না পার্থ চট্টোপাধ্যায়’ সিবিআই-র কাছে নির্দেশ প্রসঙ্গে হাইকোর্ট
Calcutta High Court on Partha Chatterjee : কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, ‘প্রয়োজন মনে হলে গ্রেফতারও করতে পারবে সিবিআই’।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : ‘কোনওভাবেই উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হতে পারবেন না পার্থ চট্টোপাধ্যায়’ (Partha Chatterjee) রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে সিবিআইয়ের কাছে হাজিরার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি জানাল হাইকোর্ট। এসএসসির গ্রুপ ডি, নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় আজ বিকেল সাড়ে ৫টার মধ্যে সিবিআইয়ের নিজাম প্যালেসের (Nizam Palace) অফিসে হাজিরা নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। হাইকোর্ট তার রায়ে সাফ জানিয়েছে, ‘প্রয়োজন মনে হলে গ্রেফতারও করতে পারবে সিবিআই’।
হাইকোর্টের নির্দেশ
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিত বাগের রিপোর্টের পরেই হাইকোর্ট এমন নির্দেশ দিয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অনুমতিতে ৫ সদস্যের কমিটিকে বেআইনি বলা হয় রিপোর্টে। তারপরই মামলার শুনানিতে বিভিন্ন বিষয়ে সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাগের মুখোমুখি হতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। প্রয়োজনে সিবিআই গ্রেফতার করতে পারে জানানোর পাশাপাশি কোনওভাবেই রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী উডবার্নে ভর্তি হতে পারবেন না বলেও জানান তিনি। জানা যাচ্ছে, সিঙ্গল বেঞ্চের যে রিপোর্টের পরই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নির্দেশনামার কপি আপলোড হয়েছে কি না জানতে চাইল ডিভিশন বেঞ্চ।
উডবার্ন ইস্যু
কয়েকদিন আগেই গরুপাচার মামলায় (Cow Smuggling Scam) সিবিআই (CBI) হাজিরার দিনেই অসুস্থ হওয়ার কথা জানিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালের (SSKM Hospital) উডবার্ন ওয়ার্ডে (Woodburn Ward) ভর্তি হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। তৃণমূলের নেতা কুণাল ঘোষও দলের নেতাদের কেন্দ্রীয় সংস্থার হাজিরা এড়িয়ে উডবার্ন ব্লকে ভর্তি হওয়া নিয়ে মুখ খুলেছিলেন।
এসএসসি ইস্যুতে দ্বন্দ্ব
এর আগে স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নিয়ে এবার ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, 'এইসব ঘটনা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর জমানায় ঘটেনি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। তিনিই দলের মহাসচিব। যাবতীয় ব্যাখ্যা তিনিই দিতে পারবেন। ' এ নিয়ে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের মন্তব্যে তৃণমূলের অন্দরেও কার্যত তোলপাড় শুরু হয়। পাল্টা মন্তব্য করেন ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুন- উডবার্ন কি হাসপাতাল, না কয়েদিদের আশ্রয়খানা? ফের বিস্ফোরক কুণাল, নিশানায় রাজ্যের মন্ত্রী